ঘরের মধ্য থেকে বয়স্ক দম্পতির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতদের নাম হরিদাস মজুমদার (৮২) ও উর্মিলা মজুমদার (৭২)। ওই দম্পতির বাড়ি গাংনাপুরের বিলধারপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে ওই দম্পতির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা বেলা ১১টা নাগাদ মজুমদার দম্পতির ঘরে ঢুকে দেখেন দু’জনই শুয়ে রয়েছেন। তাঁরা দেখেন ওই দম্পতির গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাঁরা মারা গেছেন। তবে ঘরের জিনিসপত্র খোওয়া যায়নি। ঘরের মধ্যে কিছু পোড়া কাগজপত্র মিলেছে।
প্রতিবেশীদের অনুমান, ঘরের ঢুকে কাগজপত্র সরানোর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ওই দম্পতির। তখন দুষ্কৃতীরা সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করে ওই বয়স্ক দম্পতিকে। পুলিশ তদন্তের জন্য পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
প্রায় চার দশক ধরে বিলধারপাড়ায় বসবাস করছেন এই দম্পতি। তাঁদের সন্তানেরা সকলেই বাইরে থাকেন। পাড়ায় নির্বিবাদী ও মিশুকে বলে পরিচিত মজুমদার দম্পতির কোনও শক্র ছিল না। তাই এই খুনের ঘটনায় হতবাক পাড়ার লোকজন। হরিদাসবাবুর ছেলে নিখিল মজুমদার স্থানীয় একটি ভোকেশনাল স্কুলের শিক্ষক। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে আবার রাতে রানাঘাটে ফিরে যাই। বুধবার সকালে জানতে পারি বাবা, মা দু’জনেই মারা গিয়েছেন। তার পরই বাড়িতে ছুটে এসেছি। আমাদের তো কোনও শক্র ছিল না। কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না।”
দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অজয় রায় বলেন, “ওই দম্পতি কোনও ঝামেলার মধ্যে থাকতেন না। মনে হচ্ছে সম্পত্তি নিয়ে গোলমালের জেরেই এই খুন।” জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।” |