আমাদের চিঠি

দুর্গাপুরের ফ্লাইওভার কবে শেষ হবে
দুর্গাপুর ফ্লাইওভার। এখন যেমন। ছবি: বিশ্বানাথ মশান।
গত ৫-৬ বছর যাবৎ শুরু করে এখনও অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি দুর্গাপুরের ফ্লাইওভারের। যত দিন যাচ্ছে দুর্গাপুর শিল্পনগরীর লোকসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে এখানকার মানুষের কর্মতৎপরতার বহর। তাই এই মুহূর্তে দুর্গাপুর মহকুমার সবচেয়ে বড় সমস্যা, দুর্গাপুর রেল স্টেশনের পূর্বদিকের রেলগেটের উপর দিয়ে যাতায়াতের ঝামেলা। এই রেলগেট পার হয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় ১০-১২টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, ডাকঘর-ব্যাঙ্কে কাজে যাওয়া গ্রাহক-কর্মী, হাটে-বাজারে যাওয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের। পূর্ব রেলের এই লাইনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই লাইনে ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন, গড়ে ৪০ জোড়া মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। ফলে রেলগেট অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকাই স্বাভাবিক। সে জন্য পারাপারকারী যাত্রীবাহী গাড়ি, পথচারীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাতে অপেক্ষা করতে না হয় তার বিকল্প উপায় নেই। তার উপর সকল উৎসব-মরসুমে সমস্যা আরও ব্যাপক আকার নেয়। তখন যেমন ট্রেন বাড়ে, তেমনই রেলগেট পারাপারকারী যাত্রী এবং গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায় দ্বিগুণ। সমস্যা কাটাতে ২০০৬-’০৭ সাল থেকে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজও তা শেষ হয়নি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কংক্রিটের রাস্তা হোক
বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি থানার অন্তর্গত কাপিষ্টা অঞ্চলভুক্ত শালতোড় গ্রামের কর্দমাক্ত জলস্রোত প্রবাহিত গ্রামীণ রাস্তাটি ঢালাই করা হোক। গ্রামের সকল জনসাধারণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিবেকানন্দ শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের খুদে পড়ুয়াদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করা হোক। সরকারি ভাবে সর্বশিক্ষা মিশন থেকে পড়ুয়াদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটির প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে বড়জোড়া বিধানসভার সদস্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অবহেলায় গোলকুঠী রোড
কান্দি মহকুমার বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপির গোলকুঠী রোডটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল। ছাত্রছাত্রী থেকে চাষি সকল স্তরের মানুষ দুর্ভোগের শিকার। সবচেয়ে পীড়াদায়ক বিষয় প্রসূতিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত। গোদাপাড়া, পুলিয়া, শ্যামপুর ও চাঁচোয়া প্রভৃতি গ্রামের মানুষকে স্কুল-কলেজ, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, বিদ্যুৎ অফিস ও ব্যবসার প্রয়োজনে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়েই পাঁচথুপি যাতায়াত করতে হয়। রাতে এবং বর্ষায় যাতায়াত আরও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। ঘোষপাড়াঘাট পর্যন্ত এই রাস্তাটির আরও একটি গুরুত্ব বর্তমান। ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ সংস্কার ও বন্যা পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী থেকে আমলা সকলেই গোলকুঠী রোডটি ব্যবহার করেন। রাস্তাটিকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। অথচ জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসন সকলেই নির্বিকার। স্থানীয় বিধায়কের কাছে আবেদন, রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করুন।
পরিবেশ নিয়ে একটু ভাবুন
মডেল স্টেশন করার নামে বিভিন্ন রেল স্টেশনে থাকা বৃক্ষরাজি যে ভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে তাতে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কী সুবিধা হবে জানি না। তবে এর ফলে পরিবেশের যে সমূহ ক্ষতিসাধন হচ্ছে বা হবে সেটুকু অনায়াসেই বলা যায়। কিন্তু স্টেশনের উন্নয়নে যেহেতু গাছ কাটা বন্ধ করা যাবে না তাই মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, কেটে ফেলা একটা গাছের জন্য যেন অন্তত দু’টি গাছ স্টেশনের ধারে বসানো হয় এবং সেগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তা হলে আমাদের পরিবেশ তার মৃতপ্রায় অবস্থা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে।


এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.