তারাবাজি

কলকাতাকে পার্টি মুডে দেখতে চাই
ব উইক এন্ডেই মজাদার কিছু না কিছু ইভেন্ট থাকে মুম্বইতে।
সপ্তাহখানেক আগে মুম্বইতে দেখা মিলিন্দ সোমনের সঙ্গে রয়াল পোলো গালা নাইটে। যোধপুরে শুরু হবে পোলো সিজন। তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল সে রাতে। আমি তার হোস্ট। স্বাভাবিক ভাবেই পোলোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ফ্যাশন।
তাই সে রাতে উপস্থিত সকলে নিজের সেরা পোশাক বার করতে কোনও খামতি রাখেননি। সব মেয়েরই যা হয়, আমিও ঠিক করতে পারছিলাম না কোন পোশাকটা পরব। সৌভাগ্যক্রমে আমাকে মাথা ঘামাতে হয়নি। আমার স্টাইলিস্ট একটা মারচেসা গাউন বেছে রেখেছিলেন। মিলিন্দ দেখেই বললেন, “অর্চনা, তোমাকে তো পুরো রেড ওয়াইনের মতো দেখাচ্ছে।”
ওয়েল, আমি জানি কী বলতে চাইছিলেন উনি। কমপ্লিমেন্টটা যদিও নিলাম, তবে আমি মনে মনে ভাবছিলাম, “কী অদ্ভুত! এই কমপ্লিমেন্ট যার পাওয়া উচিত সে-ই আমাকে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছে।”
অনুষ্ঠানটা বেশ জমেছিল। হাজির ছিলেন ফিলিপ ট্রেসি, যাঁর হ্যাটের কালেকশন ব্রিটিশ রাজ পরিবারেও জনপ্রিয়। সে দিন টুপির কালেকশন দেখালেন উনি। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম ফ্যাশনকে কতটা সাপোর্ট করে মুম্বই। মাথায় ঘুরছিল কলকাতার পোলো ম্যাচ নিয়ে বাবা-মায়ের বলা গল্পগুলো। মহারানি গায়ত্রী দেবীর পোলো মাঠে রোম্যান্স। পোলো মাঠই ছিল ফ্যাশনেবল নারী-পুরুষের আসল র্যাম্প।
মুম্বইয়ের এক ফ্যাশন শো-য়ে ডিজাইনার পোশাক পরে এক মডেল।
(ডান দিকে) ওয়েন্ডেল রডরিক্সের পোশাকে কলকাতা ফ্যাশন উইকে এক মডেল।
কবে আবার কলকাতা দেখবে এ রকম একটা শো?
পুরোনো দিনের কথা মনে করতে করতে ভাবছিলাম, কলকাতায় কি এমন একটা গাউন পাব যেটা মুম্বইতে পরেছি?
পোলো ফ্যাশন তার সেই গ্ল্যামার এখন হারিয়েছে। কিন্তু ডার্বি এখনও সমান জনপ্রিয়। এখন অনেকেই মনে করেন, আগে যেভাবে কলকাতা পার্টি করত বা সাজত, তা এখন আর হয় না। দিল্লি-মুম্বই-ই তো এখন ভারতের ফ্যাশন রাজধানী। সব নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডের দোকান আছে ওই দুই শহরে। কলকাতা কিন্তু ডিজাইনারদের আঁতুড়ঘর। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বা কিরণ উত্তম ঘোষ, অনামিকা খন্নারা তো এই শহরেরই ডিজাইনার। এমনকী নতুন প্রজন্মের দেব আর নীল, কল্লোল দত্ত সবাই কলকাতার।
তবু ফ্যাশনের দিক থেকে দিল্লি আর মুম্বইয়ের থেকে কলকাতা এত পিছিয়ে কেন? কলকাতা কি তা হলে কেনাকাটার দৌড়ে পিছিয়ে আছে! মানে ক্রয়ক্ষমতার অভাব! না কি এ শহর এমনই উদাসীন থাকতে চায় ফ্যাশন সম্পর্কে?
যুক্তি, পালটা যুক্তি চলতেই থাকবে। আর সেই ভবিষ্যদ্বাণীর ধ্বংসের দিনটা যখন পার করেই ফেলেছি, পার্টি হ্যাটও মাথায়... ও সব নিয়ে আর কাটাছেঁড়া করব না। তার বদলে বলব, কলকাতাকে আমি কী ভাবে পার্টি মুডে দেখতে চাই। ক্রিসমাস থেকেই তো শুরু হয়ে যাবে পার্টি, চলবে সেই নিউ ইয়ার পার করে।

শীতের জন্য আধ ডজন
• ব্ল্যাক খুব বোরিং। হোয়াইট ইজ দ্য নিউ ব্ল্যাক। সাদা রং কালোর জায়গা নিয়েছে। তাই সব হিপ অ্যান্ড হ্যাপেনিং মেয়েদেরই এখন সাদা পরে পরিদের মতো হয়ে ওঠার সময়। মোটেই কালো পরে সেক্সি ডেভিল নয়।
• পেপলাম ড্রেস এই সিজনে বেশ কাটছে। তবে যাঁদের হিপস্ একটু ভারীর দিকে, তাঁদের জন্য রয়েছে ছোট ফ্ল্যাপ। ড্রেসিংয়ের মূল কথা হল ক্লেভার ড্রেসিং। বুদ্ধি করে সাজগোজ।
• সিকোয়েন্স ড্রেস এখন ফ্যাশনে ইন। তাই বলে যে, পার্টিতে ক্রিসমাস ট্রি-র মতো সেজে যাবেন, তা কিন্তু কখনওই নয়। কোনও ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়। শাইনি ফিনিশের বদলে এ বার নয় ম্যাট ফিনিশই বাছলেন।
• ছেলেরা সাদা সেক্সি টাক্স পরতে পারেন। যেমনটা হৃতিক পরেন। ব্ল্যাক টাই অনুষ্ঠানে আমার দেখা সেরা পোশাকের পুরুষটি হল হৃতিক। ড্রেসিংয়ের ব্যাপারে হৃতিকের পথে হাঁটলে কখনওই ভুল করবেন না।
• টুইডের চেক-চেক ট্রাউজারে ছেলেদের কিন্তু বেশ হট দেখায়। ইমরান খান তো প্রায়ই পরেন। ওঁর স্টাইলিং করেন আমার বন্ধু হরমিত শেঠি। রঙিন ট্রাউজারও ইমরানকে একেবারে আউট-অব-দ্য-বক্স লুক দেয়।
• সকলের জন্য একটা শেষ টিপ, তা হল জুতোর দিকে নজর না দিয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন না। ফারহান আখতারকে এত স্টাইলিশ দেখায় কারণ সু্যটের সঙ্গে মানানসই পয়েন্টেড ক্লাসিক জুতো পরেন উনি। পার্টিকে মাতাতে সব পুরুষের ওটাই পরা উচিত। আর মেয়েরা, কঙ্গনার জুতোর কালেকশন দেখুন। কেমন জুতো ম্যাচ করে সব পোশাকের সঙ্গে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.