ডার্বি কেলেঙ্কারিকে ঘিরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়ল।
আজ, রবিবার যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল-প্রয়াগ ম্যাচে বাইরের লোক ঢুকিয়ে গণ্ডগোল পাকানো হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন লাল-হলুদ কর্তারা। সরাসরি না হলেও অভিযোগের তিরটা মোহনবাগানের দিকেই। আবার মোহন সচিব অভিযোগ উড়িয়ে একহাত নিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের।
শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় নজিরবিহীন ভাবে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অভিযোগ করলেন, “কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ক্লাবে ও বিভিন্ন কর্তাদের বাড়িতে ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। আমরা সন্দেহ করছি ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে বাইরের কিছু লোক কাল (রবিবার) যুবভারতীতে ঢুকে গণ্ডগোল করতে পারে।” ৯ ডিসেম্বর যুবভারতী কেলেঙ্কারির জেরে শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে মোহনবাগানের বড় হাতিয়ার সে দিনের মাঠের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ফেডারেশনের কাছে মোহনবাগান প্রমাণ করতে চাইছে, ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে নিরাপত্তার খামতি ছিল। আর এই আশঙ্কা থেকেই যাবতীয় সন্দেহ মোহনবাগানের ওপর। যা শুনে অঞ্জন মিত্র বললেন, “ওঁরা নিজেরা যে কাজটা করেছেন সে রকমই তো ভাববেন। ওঁদের মতো কুরুচিকর কাজ মোহনবাগান করে না।” |
এ দিকে ইস্টবেঙ্গলের ব্যবস্থাপনায় পর পর দুটি ম্যাচ পণ্ড হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে লাল-হলুদ কর্তাদের। তাই বাড়তি সতর্কতা। ইস্টবেঙ্গলের তরফে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, আইএফএ সচিব, ম্যাচ কমিশনার ও প্রতিপক্ষ দল প্রয়াগ ইউনাইটেডের কাছে। অতিরিক্ত পুলিশ, সিসিটিভি থাকছে। আর সমর্থকদের দেবব্রতবাবুদের অনুরোধ, “প্ররোচনায় পা দেবেন না।”
|
রবিবারে
• আই লিগ ফুটবলইস্টবেঙ্গল: প্রয়াগ ইউনাইটেড (যুবভারতী ২-০০)
• চার্চিল ব্রাদার্স: স্পোর্টিং ক্লুব (মারগাও)
• এয়ার ইন্ডিয়া: শিলং লাজং (পুণে)। |