|
|
|
|
পাঁচখুরি |
ছাত্রদের দিয়ে ধান কাটানোয় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দু’মাসের টিউশন ফি দিতে পারেনি। তাই ছাত্রদের ধান কাটার কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানা এলাকার পাঁচখুরিতে। স্থানীয় দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় একটি আবাসিক স্কুল। হস্টেলের ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয় পড়ান স্থানীয় কিছু যুবক। তাঁদেরই এক জন ধনঞ্জয় সাউ। তিনি নবম ও দশম শ্রেণির ৭ জন ছাত্রকে পড়াতেন। শান্তনু হাঁসদা, সিংরাই সোরেনরা বলেন, “অনেকদিন হস্টেল থেকে বাড়ি যাইনি। টিউশনের টাকাও দিতে পারিনি। তাই স্যার, বলছিলেন, ধান কেটে দে। তাহলে আর টাকা দিতে হবে না। সঙ্গে মুরগির মাংসের ঝোল দিয়ে ভাতও খাওয়াবেন বলেছিলেন। তাই রাতে হস্টেল থেকে বেরিয়ে কাজে চলে গিয়েছিলাম।”
ঘটনা জানাজানি হতে রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা হস্টেলে বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার সকালেও বিক্ষোভ চলে। এলাকার বাসিন্দা কচি টুডু, সমীর সাউ, সনৎ খামরুইদের স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা বলেন, “হস্টেলে একজন সুপার রয়েছেন। তিনি কী করে সন্ধের পর ছাত্রদের বাইরে বেরোতে দিলেন?” বিক্ষোভের পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ৭ জন ছাত্রকে হস্টেল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রধান শিক্ষক তারাশঙ্কর মহাপাত্র বলেন, “আগামী শুক্রবার স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক রয়েছে। সেখানে এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হয় জানার পরেই ফের ওই ৭ ছাত্রকে হস্টেলে আসতে বলা হবে।”
ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ধনঞ্জয়। তাঁর বাবা গজেন্দ্রনাথ সাউ বলেন, “আমার ছেলে এরকম কিছু করেনি। ছেলের নামে কুৎসা রটাতেই এরকম অভিযোগ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|