রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অধীনস্থ রায়গঞ্জের দি ওয়েস্ট দিনাজপুর স্পিনিং মিলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে মিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি পাঠালেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার মোহিতবাবু মিলের জেনারেল ম্যানেজারের মাধ্যমে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কলকাতার সদর দফতরে ইস্তফাপত্র পাঠান। মোহিতবাবু বলেন, “সরকারের গাফিলতিতে মিলটি দীর্ঘদিন ধরে রুগ্ণ হয়ে পড়েছে। কর্মী আধিকারিকেরা নিয়মিত বেতন না পেয়ে চরম সঙ্কটে। দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া আমাকে চেয়ারম্যানের পদে মনোনীত করেছিলেন। তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ায় আমারও আর ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তা ছাড়া তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবের জেরে মিলের উন্নয়ন করাও সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালাম। তবে মিলের পুনরুজ্জীবনের দাবিতে দলের তরফে আন্দোলনে নামা হবে।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছেন। তিনি বলেন, “মোহিতবাবু পদত্যাগ করলে মিলের কিছু আসে-যায় না। মানসবাবুর বদান্যতাতেই তিনি ওই পদে বসেছিলেন। রাজ্য সরকার মিলের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে।” মিল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই মিলে ৫২১ জন স্থায়ী কর্মী ও ১৭৯ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। সেখানে তুলো থেকে সুতো উৎপাদন হয়। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক লোকসানের জেরে মিল কর্তৃপক্ষ তুলো সরবরাহকারী দুটি সংস্থাকে গত কয়েক বছর ধরে বকেয়া ৮ কোটি টাকা মেটাতে পারছেন না। এই অবস্থায় গত বছরের এপ্রিল মাস থেকেই ওই দুই সংস্থা মিলে তুলো পাঠানো বন্ধ করে দেয়। তুলোর অভাবে মিলে সুতো তৈরির কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মিলের ডান-বাম ৬টি শ্রমিক সংগঠন ও একটি অফিসার্স সংগঠনের সদস্যরা মিল চত্বরে ইউনাইটেড ফোরাম গঠন করে আন্দোলনে নেমেছেন। ফোরামের মুখপাত্র নারায়ণচন্দ্র দেব বলেন, তুলোর অভাবে দেড় বছর ধরে মিলে সূতো তৈরির কাজ বন্ধ। কর্মী-আধিকারিকেরা গত তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে সংসার চালাতে পারছেন না। |