আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসের ‘শক্ত ঘাঁটি’ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জোরকদমে প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। আজ, বুধবার রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভা হবে। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক মন্ত্রী থাকার কথা। ওই সভার প্রাক্কালে বিনা অনুমতিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তার পুরসভার ডিভাইডারে সরকারি রেলিংয়ে ও সরকারি দেওয়ালে দলীয় পতাকা লাগানোর অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। রায়গঞ্জ টাউন কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “তৃণমূল শহরে তোরণ বসানোর জন্য পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছে। বিনা অনুমতিতে পুরসভার রেলিংয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়েছে। পুরসভা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গেলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠবে। সব দলকে পুরসভার রেলিংয়ে দলীয় পতাকা লাগানোর ক্ষেত্রে পুরসভার অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।”
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ জানান, কংগ্রেসও বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই পুরসভার সরকারি রেলিংয়ে দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেয়। তাঁর কথায়, “যে হেতু পুরসভার ক্ষমতায় কংগ্রেস রয়েছে, তাই সেই সময় অনুমতি নেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে না। আমরা মনে করি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই অনুমতি নেওয়া উচিত। দলের তরফে পুরসভার অনুমতি নিয়েই শহরে একাধিক তোরণ বসানো হয়েছে। সরকারি রেলিংয়ে দলীয় পতাকা লাগানোর অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই, সারের দাম বৃদ্ধি সহ কংগ্রেস পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে জনসভার আয়োজন হয়েছে। এই সভা থেকেই জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সূচনা হবে। জনসমর্থন হারানোর ভয়ে তৃণমূলের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।” রণজবাবু বলেন, “কংগ্রেস অনুমতি নিয়েই রেলিংয়ে দলীয় পতাকা লাগায়। অসীমবাবুরা বিষয়টি জানেন না বলে তোরণ বসানোর ক্ষেত্রে পুরসভার অনুমতি নিলেও বিনা অনুমতিতে রেলিংয়ে পতাকা লাগিয়েছেন।” সভার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সভাকে সফল করতে সোমবার ডালখোলায় দলে বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত তিলক চৌধুরী, দিলীপ দাস সহ তাঁদের অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। অসীমবাবুর নেতৃত্বে বৈঠকে নেতারা পঞ্চায়েত ভোটে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আর্জি জানান। তিলকবাবু বলেন, “পুরনো নেতা-কর্মীরা দলে যোগ্য মর্যাদা পেলে বিরোধ থাকবে না।” |