|
|
|
|
বিদ্যুতের বিকল্প উৎস গড়তে উদ্যোগী রাজ্য |
পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
অগস্ট মাসে হঠাৎ পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড বসে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে অন্ধকার নেমে এসেছিল। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিও। সেগুলি ফের চালু করার মতো বিকল্প বিদ্যুৎ পাওয়ার ব্যবস্থা ছিল না রাজ্যের কাছে। শেষে এনটিপিসি ও ডিভিসি-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টার চেষ্টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা গিয়েছিল।
এই বিপদ থেকে বাঁচতে দুর্গাপুরে একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রানিগঞ্জের কয়লা খনি থেকে পাওয়া মিথেন গ্যাস ওখানে ব্যবহার করা হবে। কেন্দ্রটি থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা রাজ্যের। প্রস্তাবিত কেন্দ্রের জন্য ডিপিএল-এর জমিই ব্যবহার করা হবে। তাই জমি সমস্যায় এই প্রকল্প থমকে থাকার সম্ভাবনা নেই।
কেন্দ্রটি গড়তে খরচ পড়বে ১১০০-১২০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলে ধারণা বিদ্যুৎ দফতরের।
বিদ্যুৎ কর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পটিতে ৬০ মেগাওয়াট করে মোট পাঁচটি ইউনিট করা হতে পারে। প্রয়োজনে দু’টি ইউনিট চলবে। আরও বেশি প্রয়োজন হলে সবক’টি ইউনিটই চালু করা হবে।
রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তার বক্তব্য, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির সঙ্গে রাজ্যের দৈনন্দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের সরাসরি কোনও সম্পর্ক থাকবে না। হঠাৎ কোনও সমস্যা হলে ওই উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু করা হবে। ৩০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ দিয়ে জরুরি অবস্থায় হাসপাতাল, রেল এবং অন্য কিছু জরুরি পরিষেবা চালু রাখা যাবে।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রানিগঞ্জে মিথেন গ্যাস তোলার বরাত পেয়েছে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশন। ওই সংস্থাটি গ্যাসের জন্য খননের কাজও শুরু করে দিয়েছে। রানিগঞ্জে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮০০ কিউবিক ফুট মিথেন পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দরপত্র চেয়ে অভিজ্ঞ কোনও বহুজাতিক সংস্থাকে এই গ্যাসভিত্তিক প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হবে। এই প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেবল রাজ্যের বণ্টন সংস্থাকেই সরবরাহ করা হবে। |
|
|
|
|
|