|
|
|
|
মমতার ক্ষয়ই বাম জয় নয়, হুঁশিয়ারি দিল আরএসপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের কাজকর্মে রাজ্যবাসীর বড় অংশের মোহভঙ্গ ঘটতে শুরু করেছে। কিন্তু তার মানেই বামফ্রন্টের প্রতি রাতারাতি মানুষের হারানো বিশ্বাস ফিরে আসছে না। তাই সতর্ক এবং সংযত থেকে মানুষের কাছে পৌঁছনোর কাজ জারি রাখতে হবে। জেলায় জেলায় সাধারণ সভা ডেকে কর্মীদের আপাতত এই সতর্ক-বার্তাই দিচ্ছে বাম শরিক আরএসপি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের সাংগঠনিক অবস্থা ঝালিয়ে নিতে জেলায় জেলায় সাধারণ সভায় কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন আরএসপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। সভাগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সাংগঠনিক কারণে। কয়েকটি জেলা বাদে বাকিগুলির সাধারণ সভার কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ। আরএসপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের নানা বিষয় নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসছে এ রাজ্যে পরিবর্তনের পরবর্তী পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং দলের আচরণে বাড়তি উৎসাহিত হয়ে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা যাতে সংযম হারিয়ে না ফেলেন, তার জন্যই হুঁশিয়ার করছেন আরএসপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর কথায়, “অনেকে মনে করছেন, মমতার ক্ষয় মানে আমাদের জয়! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির এত সরলীকরণ করা যে উচিত হবে না, তা-ই আমরা বোঝাচ্ছি। এমন একটা দল ক্ষমতায় রয়েছে, যাদের নীতির কোনও স্থিরতা নেই! কখন কী সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের হাত ধরবে, তার উপরে পরিস্থিতি বদলাবে। আমাদেরও সব দিক দেখে পা ফেলতে হবে।”
খাদ্য নিরাপত্তার দাবি এবং খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বিরোধিতা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বৈঠকগুলিতে। দলের একাংশের প্রশ্ন, আপাতদৃষ্টিতে এফডিআই এলে কৃষকের ভাল হবে বলেই মনে হয়। তা হলে বিরোধিতা কেন?
আরএসপি নেতৃত্ব ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, প্রাথমিক ভাবে ফায়দাজনক মনে হলেও এফডিআই আখেরে ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করবে এবং চুক্তি-চাষ ডেকে আনবে। দলের অবস্থান কর্মীদের কাছে স্পষ্ট করতে এফডিআই সংক্রান্ত একটি পুস্তিকাও তৈরি করেছেন ক্ষিতিবাবুরা। |
|
|
|
|
|