কৃষি দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথম জেলা সফরে পুরুলিয়া ঘুরে গেলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। মঙ্গলবার একটি দলীয় কর্মসূচিতে পুরুলিয়ায় আসেন তিনি। এ দিন তিনি জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করে জানতে চান, জেলায় কত পরিমাণ জমিতে গম ও ডাল চাষ হয়। আধিকারিকেরা জানান, ৪,৫০০ হেক্টর জমিতে গম এবং ৩,০০০ হেক্টরে ডাল চাষ হয়। জেলায় যেখানে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়, সেখানে এত কম পরিমাণ জমিতে গম ও ডাল চাষ হয় জেনে আরও বেশি জমিতে কী ভাবে ওই দুই ফসল চাষ হতে পারে, তা দেখতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন বেচারামবাবু। পরে তিনি বলেন, “চাষিরা যখন বাজারে ডাল খোসা-সহ বিক্রি করেন, তখন দাম ততটা পান না। কিন্তু সেই ডালই যদি খোসা ছাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করা যায়, তা হলে বেশি দাম মেলে। ডালের খোসা ছাড়ানোর যন্ত্র এখানে দেওয়া গেলে চাষিরা উপকৃত হতে পারেন। এই বিষয়টিও দেখা হবে।” এর আগে বেচারামবাবু পুরুলিয়া জেলা কৃষাণ খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির একটি বৈঠকেও যোগ দেন। তিনি ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। এখানে মটি পরীক্ষার সমস্যা রয়েছে বলে দলীয় সদস্যরা তাঁকে জানান। ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষার গাড়ি আনা সম্ভব কি না, তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী।
|
রাস মেলা শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার থেকেই বিষ্ণুপুরে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। মাধবগঞ্জের মদনগোপাল ও কৃষ্ণগঞ্জের লালজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে এ দিন বিগ্রহ সাজানোর কাজ দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। আজ বুধবার থেকে এখানেই শুরু হচ্ছে ৫ দিনের রাস মেলা। কৃষ্ণগঞ্জ ৮ পাড়া ষোলআনা কমিটির সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিলোচন দে বলেন, “সমস্ত প্রস্তুতি শেষ। এবারও খোল-করতালে রাসগানে মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।” মল্লরাজাদের প্রাচীন রাজধানী বিষ্ণুপুরকে বলা হয় গুপ্ত বৃন্দাবন তীর্থ। কারণ মল্লরাজা বীরসিংহ শাক্ত থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা গ্রহণের পরে ষোড়শ-সপ্তদশ শতকে বৃন্দাবনের মতো করেই গড়ে তুলতে শুরু করেন বিষ্ণুপুরকে। ফলে বৈষ্ণব দেবতাদের নামে ওই সময় থেকেই বিষ্ণুপুরে তৈরি হয় প্রচুর মন্দির। খনন করা হয় কৃষ্ণ, শ্যাম, যমুনা, কালিন্দী নামের সাতটি বাঁধ। পাড়ার নামকরণও হয় কৃষ্ণগঞ্জ, মাধবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ইত্যাদি নামে। তৈরি হয় ১০৮ দরজার রাসমঞ্চ। যা ভারতীয় শিল্পক্ষেত্রের এক সম্পদ। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ রাসমঞ্চকে সংরক্ষণ করায়, মেলা উঠে আসে মাধবগঞ্জের মদনগোপাল ও কৃষ্ণগঞ্জের লালজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে।
|
দুর্ঘটনায় মারা গেলেন রেলকর্মী তথা আবৃত্তিশিল্পী চূড়ামণি ঘোষ (৫৮)। তিনি আদ্রা ডিভিশনের ভোজুডিতে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি আদ্রার পলাশকোলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আদ্রা স্টেশনে ট্রেন থেকে পড়ে যান চূড়ামণিবাবু। বাড়ি চলে এলেও রাতের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি হন আদ্রা রেল হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে মারা যান তিনি। আবৃত্তিশিল্পী হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল চূড়ামণিবাবুর। আকাশবাণীতে বহুবার আবৃত্তির অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। আদ্রায় গড়ে ওঠা ‘আবৃত্তি পরিষদ’ গঠনেও বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। একটি ছোট সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল প্রয়াত এই শিল্পীর।
|
গলায় ফাঁস দেওয়া এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়া শহরের সার্কাস ময়দানের ঘটনা। মৃতার নাম পায়েল মাঝি (১৭)। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে সে পড়ত। তার বাড়ি ইন্দাস থানার চাতরা গ্রামে। সার্কাস ময়দানে মাসির বাড়িতে থেকে সে পড়াশোনা করত। পুলিশ জানায়, দেহটির ময়না তদন্ত করা হবে। |