মূল বাজারের যানজট এড়াতে বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। এক বছর না পার হতেই সেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তায় যাতায়াত করা পথচারীদের কাছে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থা বান্দোয়ান বাইপাস রাস্তার। ফলে ওই রাস্তার চাপ সরে গিয়ে ফের বাজার এলাকার রাস্তায় গাড়ির ভিড় বেড়েছে। বাজারের যানজট সমস্যা তাই কাটেনি। আগের মত বান্দোয়ান বাজারের মূল রাস্তায় লরি যাতায়াত শুরু হওয়ায় বিরক্ত বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এখন সংস্কারহীন বাইপাস রাস্তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুরুলিয়ার বাসিন্দা লরিচালক অসিত সেন বলেন, “আগে আমরা বাইপাস রাস্তা ধরে বেরিয়ে যেতাম। কয়েক মাস ধরে ওই রাস্তা দিয়ে লরি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় এমন গর্ত হয়েছে যে, ওই রাস্তায় গাড়ি চালালে হয়ে গাড়ি উল্টে যাবে নয়তো গাড়ি বিগড়ে যাবে। তাই ফের বাজারের রাস্তা বাধ্য হয়ে ধরতে হচ্ছে।” |
কুইলাপালের রাস্তা ধরে আগে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামের লরি বা অন্যান্য গাড়ি বান্দোয়ান বাজারে ঢুকে পড়ত। অন্য দিকে, বরাবাজার হয়ে পুরুলিয়া অথবা ঝাড়খণ্ডের গাড়ি সরাসরি বান্দোয়ান বাজার দিয়ে যাতায়াত করাত। ফলে ব্যাপক যানজট হত। ওই রাস্তার উপর একটি গার্লস স্কুল-সহ তিনটি হাইস্কুল রয়েছে। ফলে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় যানজটের জেরে পথচারীরা নাকাল হতেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও সমস্যায় পড়ত। তাই ওই রাস্তার চাপ কমাতে একবছর আগে বান্দোয়ান বাইপাস রাস্তা সংস্কার করে পাকা করা হয়। বান্দোয়ান বাজারের রাস্তার ভিড়ও স্বাভাবিক ভাবে কিছুটা কমে যায়। স্বস্থি ফেরে বাসিন্দাদের। কিন্তু বছর ঘুরতেই বাইপাস রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে।
বান্দোয়ানের বাসিন্দা নারায়ণ মাহাতো, অজিত মাহাতোদের অভিযোগ, “ওই রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের মাল ব্যবহার করায় এক বছরের মধ্যেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। পিচ পাথর উঠে গিয়ে রাস্তার যা দশা, মনে হয় যেন অনেক ডোবা তৈরি হয়েছে। মালবাহী গাড়ির চালকরা ভুল করেও এখন আর ওই রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছেন না। ফলে বাজারের রাস্তায় ফের সেই যানজট ফিরে এসেছে। আমরাও নতুন করে সমস্যায় পড়েছি।” তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসন সমস্যার কথা জেনেও হাত গুটিয়ে রয়েছে। বান্দোয়ানের বিডিও মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “ওই রাস্তার সমস্যার কথা জানি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জানিয়েছেন। রাস্তাটি সংস্কারের চেষ্টা চলছে।” |