জমির ন্যায্য দামের দাবিতে সরকারি হস্তক্ষেপে আলোচনা শুরু না-হলে আগামী ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা অবরুদ্ধ করে দিতে পারে লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজ্য সাড়া দিচ্ছে না বলেই তাদের এই পথে যেতে হচ্ছে বলে মঙ্গলবার পিডিএসের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল। ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে দুবরাজপুরের লোবার বাসিন্দারা বলে গেলেন, শিল্পের জন্য জমি দেবেন না, এমন দাবি তাঁরা কখনও করেননি। কিন্তু মাটির তলার কয়লার মূল্য ধরে জমির দাম ঠিক করার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ার পরেও সরকারি কোনও পদক্ষেপ না-হওয়ায় তাঁরা হতাশ ও ক্রুদ্ধ।
লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনের পাশে গোড়া থেকেই রয়েছে পিডিএস। লোবায় পুলিশি গুলিচালনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং জমির দাম ঠিক করতে আলোচনার দাবিতে এ দিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল শেষে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল পিডিএস। তাদের দাবি নিয়ে ৪ ডিসেম্বর সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্না এবং ১৩ তারিখ কলকাতায় গণ-অবস্থানের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে কমিটি। সেই সূত্র ধরেই এ দিনের সমাবেশে পিডিএসের রাজ্য সম্পাদক সমীর পূততুণ্ড বলেছেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে মর্যাদা না-দিলে অশান্তি হবেই। সরকারকে বলছি, কমিটিকে অবস্থানের অনুমতি না-দেওয়া হলে প্রয়োজনে লোবার লোক গ্রাম ফাঁকা করে কলকাতায় চলে আসবে! যেখানে পুলিশের বাধা পাবে, সেখানে বসে পড়বে। বাধা দিলে তার পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকবেন!” |
সমীরবাবুর নেতৃত্বেই কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিধানসভায় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আলোচনা হয়েছিল ৯ নভেম্বর। তার পরে আর কিছু এগোয়নি।
কমিটির সভাপতি ফেলারাম মণ্ডল এবং সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার এ দিনের সভায় বলেছেন, “মাটির নীচে কয়লা নিয়ে ঘুমোতে যাই। ন্যায্য দাম ছাড়া জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে এটা হয় না!” লোবার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পিডিএসের রাজ্য সভাপতি সৈফুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “কৃষি এবং শিল্পের কৃত্রিম সংঘাত রোধ করতে না-পারলে রাজ্যের ক্ষতি হবে। লোবার মানুষ এটা বুঝেছেন।” |