ভুয়ো জবকার্ড দেখিয়ে ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গ্রামোন্নয়ন সমিতির সচিবের বিরুদ্ধে। ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েতের দোগাছি গ্রামোন্নয়ন সমিতির ঘটনা। সচিব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি দোগাছি গ্রামোন্নয়ন সমিতির অধীনে থাকা বুদুর মৌজায় একটি পুকুর কাটার জন্য প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। মজুরদের অভিযোগ, বরাদ্দ টাকায় সাত দিন কাজ হয়। তারা মজুরিও পান। এরপর ভুয়ো জবকার্ড দেখিয়ে ৫৪ জন মজুরের নামে সাত দিনের বেতন বাবদ প্রায় ৪৯ হাজার টাকার মাস্টার রোল পঞ্চায়েতে জমা দেওয়া হয়। জানতে পেরে তাঁরা পঞ্চায়েত এবং বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান।
ওই মজুরদের পক্ষে মহম্মদ আলি এবং আব্বাসউদ্দিন শেখের অভিযোগ, “টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রামোন্নয়ন সমিতির সচিব সাইফুর রহমান যে সব মজুরদের পোশাকি নামে জবকার্ড এবং পাশবই রয়েছে তাদের ডাক নামে ফের জবকার্ড এবং পাশবই তৈরি করে মাস্টার রোলে জমা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থাকেন না এমন জবকার্ডধারীর নামও মাস্টার রোলে ঢোকানো হয়েছে।”
সাইফুর রহমান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “যাঁরা যতদিন কাজ করেছেন তাঁদের নামেই ততদিনের কর্মদিবস মাস্টার রোলে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। কোনও ভুয়ো নাম বা বাইরে আছে এমন জবকার্ডধারীর নাম ঢোকানো হয়নি।” তার পাল্টা অভিযোগ, “আসলে অভিযোগকারীরাই কাজ না করে বেতন পাওয়ার জন্য তাঁদের নাম মাস্টার রোলে ঢোকানোর দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু আমি তা করতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” ঢেকা পঞ্চায়েতের প্রধান ফরওয়ার্ড ব্লকের কল্যাণী দাস বলেন, “ওই অভিযোগ পাওয়ার পরই বিতর্কিত মাস্টার রোলের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। ব্লকস্তরে তদন্ত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মলয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |