ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার গড়িয়া ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে তাঁর দেহটি মেলে। মৃতের নাম রবীন বণিক (৪৫)। বাড়ি সোনারপুর থানার শচীন্দ্রপল্লিতে। পেশায় তিনি চিটফান্ডের এজেন্ট ছিলেন। রেলপুলিশ জানায়, ওই চিটফান্ডটি এক বছর ধরে বন্ধ। মালিকও বেপাত্তা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আমানতকারীরা টাকার জন্য রবীনবাবুকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আলোদেবী বলেন, “মাঝেমধ্যেই ও বলত, আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই। আমানতকারীরা আমাকে ছাড়বে না।” পুলিশের অনুমান, এই চাপে আত্মহত্যা করেছেন রবীনবাবু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে গড়িয়া থেকে ট্রেনটি সোনারপুরের দিকে আসছিল। আচমকা ওই ব্যক্তি ছুটে গিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ট্রেনের ধাক্কায় রবীনবাবুর বাঁ হাত ও ডান পায়ের গোড়ালি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। মাথাতেও চোট লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান। |
রবীনবাবুর সহকর্মী স্বপন বারিক বলেন, “ওই চিটফান্ডের এজেন্ট হিসেবে রবীনবাবু প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন। এখন সুদ সমেত ওই টাকা আমানতকারীদের ফেরত দেওয়ার সময় হয়েছে।” তাঁর ছোট মেয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য মাসে ২০০০ টাকা খরচ হয়।
পুলিশ জানায়, ডায়মন্ড হারবারে চিটফান্ডটির মূল অফিস ছিল। আমানতকারীদের চাপে অফিসটি বন্ধ করা হয়। পরে জয়নগরে আর একটি অফিস খুললেও সেখানে গিয়ে কোনও এজেন্ট টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। ডায়মন্ড হারবার থানায় ওই চিটফান্ডের মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |