|
|
|
|
এ বার সাইকেল সংখ্যালঘু ছাত্রীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আবার সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য সাইকেল বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরাই সাইকেল পাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫৬০টি সাইকেল বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই এগুলো বিলি করা হবে। এখন তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
জঙ্গলমহল এলাকার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্রীকে যে সাইকেল দেওয়া হয়নি, তা মানছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকও। তাঁর কথায়, “কত সাইকেল প্রয়োজন, তা রাজ্যকে জানানো হয়েছিল। তবে সেই সংখ্যক সাইকেল বরাদ্দ হয়নি। ফলে সবাই সাইকেল পায়নি।” ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়ার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল বামফ্রন্টের আমলে। জঙ্গলমহল তখন অশান্ত। ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। ঘন ঘন বন্ধ-অবরোধে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ স্কুলে আসতে পারত না। বিশেষ করে মেয়েরা। এই পরিস্থিতিতেই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হবে। সাইকেল পেয়ে অনেকে উপকৃতও হয়েছে। তারা সাইকেলে চেপেই স্কুলে যাতায়াত করে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে পালাবদলের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য ৪৭১৬টি সাইকেল বরাদ্দ হয়। তারমধ্যে বিলি হয়েছিল ৪৫৩৭টি। পালাবদলের পর আরও ১৪ হাজার ৩১৩টি সাইকেল বিলি হয়েছে। অর্থাৎ, জেলার জঙ্গলমহল এলাকায় এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ৮৫০টি সাইকেল বিলি করা হয়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহল এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই ছিল সাইকেল বিলি। পালাবদলের পর জঙ্গলমহলের তিনটি জেলার মাওবাদী উপদ্রুত ২৩ ব্লকের ছাত্রীদের জন্য সাইকেল বরাদ্দ করে সরকার। জানানো হয়, সবমিলিয়ে ৩৮ হাজার ৯৩৯টি সাইকেল দেওয়া হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরাই সাইকেল পাবেন। বাঁকুড়া জেলার ৪টি উপদ্রুত ব্লকের জন্য ১০ হাজার ১৮টি, পুরুলিয়া জেলার ৮টি উপদ্রুত ব্লকের জন্য ১১ হাজার ৬৯৪টি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১টি উপদ্রুত ব্লকের জন্য ১৭ হাজার ২২৭টি সাইকেল দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু, ঘোষনা মতো সাইকেল বরাদ্দ হয়নি। ফলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব ছাত্রী সাইকেল পায়নি। যেমন শালবনির ভাদুতলা হাইস্কুলের মাত্র ৫ জন ছাত্রী সাইকেল পেয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে ৫ জন ছাত্রীকে পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই মতো ৫ জন ছাত্রীকে পাঠিয়েছিলাম। তারাই সাইকেল পেয়েছে। তারপর আর সাইকেল বরাদ্দ হয়নি।” ঘোষণা মতো এই স্কুলের প্রায় ২৬০ জন ছাত্রীর সাইকেল পাওয়ার কথা। অমিতেশবাবু বলেন, “অনেক ছাত্রী এসে বলে, ‘আমরা কেন সাইকেল পাব না। পাশের স্কুলের বন্ধুরা পেয়েছে।’ তখন আমাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘোষনা মতো নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল ছাত্রীকে সাইকেল দিতে গেলে আরও প্রায় ৮ হাজার সাইকেল প্রয়োজন। বিষয়টি রাজ্যকেও জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|