|
|
|
|
খড়্গপুর কলেজে চাপানউতোর |
ছাত্র সংসদ গঠনে সিপি এসএফআইয়ের ‘পাশে’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভোটাভুটি হল। তবে পূর্ণাঙ্গ সংসদ গঠন হল না। ছাত্র সংসদের ১৮টি পদের মধ্যে ১১টিই ‘টাই’ হয়েছে খড়্গপুর কলেজে। বাকি ৭টি পদে জয়ী হয়েছে টিএমসিপি। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ নিলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” সংসদ গঠনে এমন ফলাফলে শোরগোল পড়েছে খড়্গপুরের রাজনৈতিক মহলেও। ভোটাভুটিতে এসএফআই সিপি’র সমর্থন পেয়েছে বলেই অভিযোগ।
গত ১২ অক্টোবর খড়্গপুর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। ৬৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পেয়েছিল ৩০টি। এসএফআই পেয়েছিল ২৬টি। ছাত্র পরিষদ (সিপি) ৫টি এবং ডিএসও ৫টি আসন পেয়েছিল। গত বছরও খড়্গপুর কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। পরে সংসদ গঠন করেছিল এসএফআই। গত ১৮ অক্টোবর সংসদ গঠনের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। তবে প্রক্রিয়া শুরুর আগেই গোলমাল বাধে। টিএমসিপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকেরা। ফলে সংসদ গঠন প্রক্রিয়াই ভেস্তে যায়। পরে ২৭ নভেম্বর সংসদ গঠন হবে বলে ঘোষনা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই মতো মঙ্গলবার সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসএফআইয়ের যে ২৬ জন নির্বাচনে জিতেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১ জন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। ফলে সংসদ গঠনে যোগ দিতে পারেননি। বাকি ২৫ জন যোগ দেন।
অন্য দিকে, টিএমসিপির ৩০ জন ও সিপির ৫জনও নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে চলে আসেন। তবে সংসদ গঠনের প্রক্রিয়ায় যোগ দেননি ডিএসও’র ৫ জন। গোপন ব্যালটে ভোটাভুটি হয়। ভোট শেষে দেখা যায়, সংসদের সাধারন সম্পাদক সহ ১১টি পদেই টাই হয়েছে। এসএফআই-টিএমসিপি, দু’পক্ষের প্রার্থীরাই ৩০টি করে ভোট পেয়েছেন। বাকি ৭টি পদে অবশ্য টিএমসিপির প্রার্থীরা জিতেছেন। জয়ের ব্যবধান ৩১-২৯। তবে টিএমসিপি নেতা শীর্ষেন্দু দাসের অভিযোগ, “সংসদ গঠনে সিপি এসএফআইকে সমর্থন করেছে। ভোটের ফলাফল থেকেই তা স্পষ্ট।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপির নেতা ধনঞ্জয় দে বলেন, “টিএমসিপির মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই এই ফলাফল। ওদের মধ্যে ক্রস ভোটিং হয়েছে।” এসএফআই নেতা রাজীব মণ্ডলের কথায়, “গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছে। ফলে কে কাকে ভোট দিয়েছেন, বলা সম্ভব নয়। তবে যাঁরা আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” সংসদ গঠনকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। |
|
|
|
|
|