নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ইম্ফলে সাংগাই উৎসবের মেলায় বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর মাংস বিক্রি নিয়ে হইচইয়ের জেরে প্রবস অস্বস্তিতে মণিপুর সরকার। সরকারের মুখরক্ষায় পর্যটন অধিকর্তা হৃষীকেশ মোদক তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানালেন, গত কাল সন্ধ্যায় স্টলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কোথা থেকে, কী ভাবে বন্য প্রাণীর মাংস এনে বিক্রি করা হয়েছিল তা জানতে আটক করা হয়েছে ওইনাম বোজো নামে স্টলের এক ব্যক্তিকে। রাজ্যের মুখ্য বনপাল অনিলকুমারও ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, মেলা থেকে কেনা মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রমাণ হাতে এলে এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। |
পাশাপাশি, সাংগাই হরিণের একমাত্র আবাস কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যানের এলাকাতেই পাখি হত্যার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল দুই শিকারি। তাদের মধ্যে একজন আসাম রাইফেলসের কর্মী। গত কাল স্থানীয় ‘সাংগাই প্রোটেকশন ফোর্স’-এর সদস্যরা মহম্মদ সালিমুদ্দিন ও মহম্মদ আমুচা নামে ওই দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আমুচা আসাম রাইফেলসের জওয়ান। ত্রিপুরায় কর্মরত ওই জওয়ান ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে একটি মৃত ধূসর হেরন, দুটি পার্পল হেরন, একটি জীবন্ত ক্যাটল ইগ্রেট মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে একটি একনলা রাইফেল। ছ’টি ফাঁকা ও একটি তাজা কার্তুজ।
এ দিকে, থৌবালের পিএফএ কর্মীরা টেংথা খুনৌ এলাকায় দুই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর বন্য পাখি উদ্ধার করে। পরে, পাখি শিকারিদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া পাখিদের মধ্যে রয়েছে ৬টি থেম্বিস, ৬টি মিটগাংবি, ১৬টি চড়াই, ১টি কুট, ১টি স্পটেট পেঁচা, ২টি লাভবার্ড, ১টি স্যান্ড পাইপার ও ১টি জ্যাক স্নাইপ। একটি মৃত মিটগাংবি ও ৭টি মৃত চড়াইও মেলে ধৃতদের কাছে। |