নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলমা থেকে আসা হাতির দল ক’দিন আগেই এলাকা থেকে সরেছে। তারপর হাফ ছাড়তে না ছাড়তেই ফের ময়ূরঝর্না থেকে হাতির অন্য একটি দল এলাকায় ঢুকে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বেগে স্থানীয় মানুষজন।
হাতির হানায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমির, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দলটি এখন মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল, শালবনির দহ ও তার আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। দলটিতে প্রায় ২৫টি হাতি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন বন দফতর। মেদিনীপুরের ডিএফও আশিষ সামন্ত বলেন, “এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। দলটি ময়ূরঝর্ণা থেকেই এসেছে। কিছু ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার উপরজবা-শ্যামনগর এলাকায় ঢুকে পড়েছিল দলমা থেকে আসা হাতির দলটি। প্রায় ১৩০-১৪০টি হাতি ছিল দলটিতে। পরে কাঁটাপাহাড়ি, লালগড় হয়ে দলটি মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে দলটি ছিল। পরে কাঁসাই পেরিয়ে খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা হয়ে দলমার দলটি নয়াগ্রামে যায়। সে বার সদর ব্লকের শুখনাখালি, ডুমুরকোটা ও তার আশপাশ এলাকা থেকে হাতি তাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বন দফতরের কর্মীদের। এ বারও তাই। ময়ূরঝর্ণার দলটি ৪ দিন ধরে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। কখনও কখনও বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ছে। ফলে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক-উদ্বেগ রয়েছে। হাতির দল একই জায়গায় থাকলে আবার ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। বন দফতর জানিয়েছে, ক্ষতি এড়াতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবারও দলটি কয়েকটি ভাগে গুড়গুড়িপাল, শুখনাখানি, দহ’র মতো কয়েকটি এলাকার জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করেছে।
|
আজ, বুধবার করলা নদীতে মাছ ছাড়বে পুর কতৃপক্ষ। গত বছরের ২৮ নভেম্বর জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদীতে হাজার হাজার মৃত মাছ ভেসে ওঠে। সে কারণেই বুধবার মাছ ছাড়া হবে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। গত বছর নদীতে বিষ কাণ্ডের বিভিন্ন ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও করেছে পুর কতৃপক্ষ। পুর-চেয়ারম্যান মোহন বসু সকাল ৯টায় শহরের বাবুঘাটে মাছ ছাড়বেন। পুরসভা একবছর ধরে দূষণ থেকে করলা-সহ অন্য নদীকে রক্ষা করতে নানা নিষেধাজ্ঞা ও সর্তকতা জারি করেছে। |