সহকর্মীকে নিগ্রহের প্রতিবাদে মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করলেন উলুবেড়িয়া ১ বিডিও দফতরের কর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় মিছিলও করেন তাঁরা।
ওই চত্ত্বরে বিডিও অফিসের পাশাপাশি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উলুবেড়িয়া উত্তর ও দক্ষিণ চক্রের স্কুল পরিদর্শক, ব্লক খাদ্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত সমিতির দফতর রয়েছে। এই সমস্ত দফতরে প্রায় দেড়শো জন কর্মী আছেন। তাঁরাই এ দিন কর্মবিরতি পালন করেন। ফলে কোনও দফতরেই কাজ হয়নি। আজ, বুধবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে ওই সব অফিস ছুটি। ফলে, তার আগের দিন মঙ্গলবার বিভিন্ন কাজে বিডিও অফিসে এসেছিলেন বহু মানুষ। কাজ না সেরেই তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটে সোমবার। দুপুর ১টা নাগাদ বিডিও অফিস-সংলগ্ন পুকুরে স্নান করতে আসেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্নান সেরে গাড়ি চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় দাঁড়ানো পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুবীর প্রামাণিকের মোটরবাইকে ধাক্কা মারেন। সেই নিয়ে তাঁর সঙ্গে সুবীরবাবুর কথা কাটাকাটি হয়। তখনকার মতো ফিরে যান ওই ব্যক্তি। কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য দলবল নিয়ে ফিরে আসেন। সুবীরবাবুকে খুঁজতে থাকেন। তাঁকে না পেয়ে ভোলানাথ দাস নামে বিডিও অফিসের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করতে এসে প্রহৃত হন কয়েক জন সহকর্মীও। |
ওই ঘটনার প্রতিবাদেই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন কর্মীরা। সুবীরবাবু বলেন, “ওই ব্যক্তিকে আমি একটু আস্তে গাড়ি চালাতে বলেছিলাম। তার যে এই পরিণাম হবে ভাবিনি।” ভোলানাথবাবু বলেন, “কর্মাধ্যক্ষকে দেখতে না পেয়ে ওরা এসে আমাকে ধরল। বলল কর্মাধ্যক্ষ কোথায় তুই জানিস। ওকে বের করে দে। বলেই আমাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করল।”
আন্দোলনকারীদের পক্ষে নীলাঞ্জন দত্ত বলেন, “আমরা বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। অফিস চত্বরে এসে মারধর করে যাবে, এই রকম বাতাবরণে কাজ করা সম্ভব নয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।” বিডিও বুলবুল বসু বলেন, “থানায় এফআইআর করেছি। পুলিশকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।” এ দিন বিডিও অফিসে এসেছিলেন নোনার বাসিন্দা কৌশিক সাঁতরা। তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দরখাস্ত করব। সেই কারণে অ্যাটেস্টেড করাতে এসেছিলাম। হল না।”
এই দুর্ভোগ এ দিন সহ্য করতে হয়েছে আরও অনেককে। |