|
|
|
|
সংশোধিত হতে পারে সংবিধান |
সম্মান রক্ষার্থে খুন, উত্তরপ্রদেশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্র |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য খুন রুখতে এ বার সংবিধান সংশোধন করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আজ এ কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ। বুলন্দশহরে আব্দুল হাকিম খুনের ঘটনাটি অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলার পাশাপাশি তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের কাছে বিস্তারিত রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা আমির খানও।
২০১০ সালে বাড়ির অমতে আব্দুলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই গ্রামেরই মেহভিশ। তার পর থেকেই শুরু হয় পালিয়ে বেড়ানো। প্রায় দু’বছর পরে গ্রামে ফিরেছিলেন তাঁরা। আর তার পরেই ২২ নভেম্বর গুলি করে খুন করা হয় আব্দুলকে। মেহভিশের অভিযোগ, তাঁর আত্মীয়দের হাতেই খুন হয়েছেন আব্দুল। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আসে, সত্যমেব জয়তে-র সম্মান রক্ষার্থে খুন-বিরোধী এপিসোডে এসেছিলেন আব্দুল এবং মেহভিশ। জানিয়েছিলেন নিজেদের ভয়ের কথা। সেই কথার উল্লেখ করে আজ ফের আমির খান বলেন, “সব কিছু তো টেলিভিশনে দেখানো সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে দেখেছিলাম কতটা আতঙ্কিত তাঁরা। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকছেন। যদি পুলিশ চায় তা হলে প্রমাণ হিসেবে সেই ভিডিও পেশ করতে পারি।” পাশাপাশি আজ দেশের মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করার কোনও মানে হয় না। এগিয়ে আসুন, প্রতিবাদ করুন।” তিনি এ কথাও বলেন যে, শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে এই ধরনের খুন-খারাপি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতার বদল।
স্বামীর মৃত্যুর পর নানা অপরিচিত ব্যক্তির ফোন এবং মেসেজ করে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মেহভিশ। সেই হুমকি-ফোনে বলা হয়েছে, যদি খুনের দায়ে জেলেই যেতে হয় তা হলে আরও কয়েকটা খুন করে জেলে যাওয়াই ভাল। এমনকী তাঁকে হত্যা করতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও নাকি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরে মেহভিশকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মহিলা সংগঠনগুলিও। যদিও পুলিশের দাবি, মেহভিশের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নাকি করা হয়েছে। তবে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য সামিনা সাফির বক্তব্য, বাড়ির বাইরে সাদা পোশাকে দুই নিরস্ত্র মহিলা পুলিশের প্রহরা এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
এই ঘটনা ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনীতি। বসপা নেত্রী মায়াবতীর অভিযোগ, ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টি পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। আর বিজেপি-র নেত্রী স্মৃতি ইরানির অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটার ফলেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। |
|
|
|
|
|