শহরের প্রায় ৬৫টি রাস্তায় দীর্ঘ দিনের অবৈধ পার্কিং বন্ধে ইতিমধ্যেই ব্যর্থ পুর প্রশাসন। এ বার সেই ‘রোগ সারানো’র পরিবর্তে অবৈধ পার্কিংগুলি বৈধ করার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। নতুন ভাবে ৯৫টি রাস্তায় গাড়ি পার্কিয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে টেন্ডার। যার মধ্যে রয়েছে আগের ৬৫টি অবৈধ পার্কিংও।
পুরসভার পার্কিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে এই প্রথম পার্কিংয়ের খোলা টেন্ডার হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছর ধরে পার্কিংয়ের বরাত দেওয়া হত এক সমবায় সংস্থাকে। কোনও ব্যক্তি এই কাজের জন্য আবেদন করতে পারতেন না। পার্কিং বিভাগের এক ইনস্পেক্টরের কথায়, “২০০৭ সালে টেন্ডার হয়েছিল। যে সব সমবায় সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছিল তাদেরই বছরের পর বছর এক্সটেনশন দেওয়া হচ্ছিল।”
গত অক্টোবরে নতুন রাস্তায় পার্কিংয়ের বরাত দিতে আগের সমবায় সংস্থার কাছেই দরপত্র চায় পুরসভা। দরপত্র খোলার দিন পুরসভার মধ্যেই গোলমাল বাধে। ভাঙা হয় দরপত্রের বাক্সও। এর পরেই পার্কিং নিয়ে পুলিশ ও পুর-অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ। তখনই বিনা টেন্ডারে বছরের পর বছর পার্কিংয়ের কাজ চলার বিষয়টি ওঠে। পার্কিং দফতর জানায়, একই সংস্থা দায়িত্বে থাকায় পার্কিং থেকে পুর-আয় বাড়ছে না। সিদ্ধান্ত হয়, এ বার পার্কিংয়ে খোলা টেন্ডার হবে। এবং সমবায় ছাড়াও কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ নিতে পারবেন।
এর পরেই পুলিশ বিভিন্ন রাস্তায় বেআইনি ভাবে চলা পার্কিংগুলি বৈধ করার অনুমতি দেয়। পুরসভার পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ রাজীব দেব বলেন, “নতুন করে দিনে ও রাতে ২৯টি লটের টেন্ডার হচ্ছে। রাস্তার সংখ্যা ৯৫।” তিনি জানান, এখন নতুন রাস্তার জন্য খোলা টেন্ডার হচ্ছে। এ ছাড়া ৬৬টি লটে পার্কিংয়ের দায়িত্বে আছেন যে সব সংস্থা, তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চে। মেয়াদ শেষের পর ওই সব লটেও টেন্ডার ডাকা হবে। রাজীব দেব জানান, এ বার থেকে টেন্ডার ছাড়া আর কাউকে পার্কিংয়ের বরাত দেওয়া হবে না। |