তৃণমূল ও পুলিশ যৌথ ভাবে তাদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সিপিএম।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদার। তাঁর অভিযোগ, “ গত ১৯ নভেম্বর আমাদের রায়না জোনাল কমিটির সদস্য মফিজুর রহমানকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। অথচ পরে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উদয় সরকার নিগৃহীত হন। তাঁর দেহরক্ষীকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করে। এর প্রতিবাদে তিনি দেহরক্ষী নেননি। আমরা আজ, ২৭ নভেম্বর সগরাই থেকে সেহারাবাজার পর্যন্ত মিছিল করব বলেছিলাম। কিন্তু মহকুমা প্রশাসন আমাদের মিছিল করার অনুমতি দেয়নি।”
|
অমল হালদার। |
অমলবাবুর অভিযোগ, জেলা জুড়েই সিপিএম নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের উপরে অত্যাচার চলছে। খুন করা হচ্ছে কর্মীদের। অত্যাচার সব চেয়ে তীব্র রায়না ও খণ্ডঘোষে। রায়নায় ১৯ জন এবং খণ্ডঘোষে ২৬ জন দলীয় কর্মী গ্রামছাড়া। তাঁরা চাইছেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর সগরাইয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জনসভা করুন। তার জন্য অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের। এ দিন মিছিলের অনুমতি না পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে অমলবাবুর অনুযোগ, “যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, ওই এলাকায় তৃণমূলের মিছিল রয়েছে। দু’পক্ষের মিছিল হলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখে দেবে। কিন্তু তৃণমূল কোনও মিছিল করেনি।”
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “সিপিএমের ওই মিছিলের অনুমতি নেবার ব্যাপারেই গলদ ছিল। থানাকে কিছু না জানিয়ে ওঁরা সরাসরি মহকুমাশাসকের কাছে অনুমতি চান। তার আগেই তৃণমূলের তরফে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ না থাকায় আমরা দু’টি দলকেই মিছিল করতে দিইনি। এতে পক্ষপাতিত্বের কী আছে?” রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মলয় ঘটকের প্রতিক্রিয়া, “ পুলিশ কোনও রাজনৈতিক দলকেই মিছিল করার অনুমতি দেয়নি। তা হলে কী করে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আঁতাঁতের অভিযোগ ওঠে? সিপিএম নেতারা সম্ভবত আজকাল কোনও কিছু খতিয়ে না দেখেই মন্তব্য করছেন।” |