এলাকাজুড়ে প্রকাশ্যেই চলছে হেরোইনের কারবার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধও। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও ফল মিলছে না। এই অভিযোগ তুলে এলাকারই এক ব্যবসায়ীকে ওই কারবারের এজেন্ট দাবি করে তার বাড়িতে ভাঙচুর চালান কালনা শহরের মধুবন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়ী সুকুমার দাস ও তার স্ত্রী গীতারানিদেবীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাদের আটক করা হয়েছে। হেরোইন কারবারে জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার আরও দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই ওই এলাকায় হেরোইন কারবারের রমরমা। এলাকার যুবকদের হাতে ব্যবসায়ীরা গোপনে নেশার পুড়িয়া দিয়ে যায়। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, নেশার টাকা জোগাতে না পেরে অনেকে বাড়ির জিনিসপত্রও বিক্রি করতে শুরু করেছেন। |
তখন চলছে ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র। |
নেশার টাকা জোগাতে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। সোমবার রাতেও একটি দোকানে চুরি হয়। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ওই দোকানের সামনে সে দিন রাতে হেরোইনের আসর বসিয়েছিল কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, নেশার টাকা জোগাতেই তারাই তালা ভেঙে দোকানে লুঠপাট চালায়।
এর পরেই মঙ্গলবার সকালে সুকুমারবাবুর বাড়িতে চড়াও হন বাসিন্দারা। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় হেরোইনের ব্যবসা চালাচ্ছে সপরিবার সুকমার। এর জেরে এলাকায় বাড়ছে চুরি-ছিনতাইও। এলাকার বাসিন্দা তিনাত মণ্ডল, গোপাল দাসেরা অভিযোগ করেন, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ-প্রশাসনও নিষ্ক্রিয়।
পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চায়নি। কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগেও পাঁচ বার অভিযান চালানো হয়েছে। যার মধ্যে তিন বার তার ছেলে গোপালকে তিন বার ও মেয়ে অপর্ণাকে দু’বার অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছিল। |