লোহা মাফিয়া গোপাল জয়সওয়ালকে গ্রেফতার করেও নিজেদের হেফাজতে নিল না পুলিশ। দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু পুলিশ কেন জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল, তার সদুত্তর মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের মেনগেট ও কাদারোড এলাকায় লোহার কাঁটা চালান গোপাল। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ সম্প্রতি লোহা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে পাকড়াও করেছে। কিন্তু গোপাল অধরাই রয়ে গিয়েছিলেন। ইদানীং দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ এলাকার অবৈধ লোহার কারবারের অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ গোপালকে খুঁজছিল। বেশ কয়েক বার তাঁর ডেরায় হানা দিয়েও ধরা যায়নি। তাঁর একাধিক সঙ্গী ধরা পড়লেও গোপাল প্রতি বারই পালান। সম্প্রতি মেনগেট ও কাদারোডের ডেরা ছেড়ে কাণ্ডেশ্বর এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন তিনি। রবিবার গভীর রাতে পুলিশ সেখানে যায়। স্থানীয় একটি হনুমান মন্দিরের পাশ থেকে ধরা পড়েন গোপাল। বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ১ টন অবৈধ লোহার যন্ত্রপাতি।
কিন্তু গোপালের মতো মাফিয়াকে গ্রেফতার করেও পুলিশ জামিন-অযোগ্য ধারা দেয়নি। সে কারণে সোমবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। ফলে গোপালের গ্রেফতার আদতে লোক-দেখানো কি না, পুলিশেরই একাংশ তাঁর সঙ্গে জড়িত কি না, বিভিন্ন মহলে সে প্রশ্ন উঠেছে। কেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হল না, কেনই বা ‘নরম’ ধারায় মামলা রুজু করা হল, তার ব্যাখ্যা পুলিশকর্তাদের কাছে মেলেনি। |