বাবা জ্ঞান দিয়ো না |
ব্যান্ডের ঘরে সুনামির ঢেউ |
আনন্দ প্লাস-এর প্রথম সংখ্যায় সিধু- রূপমের বন্দুকবাজি দেখে প্রতিক্রিয়া
জানালেন ছ’জন গায়ক। শুনলেন ইন্দ্রনীল রায় ও প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত
|
|
|
সুরজিৎ
(ভূমি)
যে প্রোগ্রামটা নিয়ে এত কথা সেদিন আমরাও লাইভ গেয়েছিলাম। টেলিভিশন প্রোগ্রামে আমরা সবাই লিপ-সিঙ্ক করি। কিন্তু লাইভ শোতে লোকে টাকা দিয়ে দেখতে এসেছে, সেখানে লিপ-সিঙ্ক করা সমর্থন করি না। জানি না, সিধুরা কীসের তাগিদে এটা করল।
কার পক্ষে: রূপম ইসলাম |
|
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
(চন্দ্রবিন্দু)
এ রকম মনোমালিন্য বাইরের
লোকের জানার থেকে নিজেদের মধ্যে
কথা বলে মিটিয়ে নেওয়াই বোধহয়
শ্রেয়। এতে ব্যান্ড ফ্রেটারনিটির গায়ে
আঁচড় তো পড়ল। এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি
যত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয় ততই সবার
মঙ্গল।
কার পক্ষে: নিরপেক্ষ |
|
সৌমিত্র
(ভূমি)
ভূমি একমাত্র ব্যান্ড যার সঙ্গে গোটা বাংলা কানেক্ট করে। অন্য ব্যান্ডদের সেই জনপ্রিয়তা নেই। চন্দ্রবিন্দুর প্রতি আমার অসম্ভব শ্রদ্ধা। লাইভ শো বা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান কোথাও লিপ-সিঙ্ক আমি মেনে নিতে পারি না। মনে হয় শ্রোতাদের চিট করা হচ্ছে। আমি কোনওদিন ‘ভূমি’ লিপ-সিঙ্ক করেনি।
কার পক্ষে: দুজনেরই বিপক্ষে |
|
অনিন্দ্য বসু
(শহর)
এই পুরো ঘটনাটা খারাপ লাগা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও অনুভূতি নেই আমার। সিধু আমার অনেক দিনের বন্ধু, সেই কলেজ জীবন থেকে আমরা একে অপরকে চিনি। কিন্তু লাইভ প্রোগ্রামে লিপ-সিঙ্ক করাটা ঠিক নয়। সবচেয়ে ভাল হত যদি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতাম।
কার পক্ষে: রূপম ইসলাম |
|
উপল
(চন্দ্রবিন্দু)
ঝগড়া শুধু ব্যান্ডের মধ্যেই হয় না, সোলো আর্টিস্টদের মধ্যে বা পরিচালকদের মধ্যেও হয়। আবার দেখব পরে কোথাও দেখা হলে দিব্যি মিটমাট হয়ে গেছে। পরিচালকদের মধ্যে ঝামেলা হলে কি লোকে সিনেমা দেখা ছেড়ে দেয়? তেমনই ভাল গান গাইলে লোকে ব্যান্ডদেরও ঠিকই শুনবে।
কার পক্ষে: নিরপেক্ষ |
|
শিলাজিৎ
(শিলাজিৎ কোম্পানি)
লিপ-সিঙ্কিং একটা অসুখ। আমি কখনও এতে রাজি হই না। আমি তো এমনও দেখেছি মুম্বইয়ের একজন অ্যাঙ্করকে কলকাতার টেলিভিশনে গাওয়ার পরে রেকর্ডিং স্টুডিওতে ছুটতে, যাতে পিচ কারেকশন করেই টেলিকাস্ট করা হয়। এই সব লোক ঠকানো আর কত দিন চলবে?
কার পক্ষে: রূপম ইসলাম |
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল, কৌশিক সরকার |
|