|
|
|
|
শিবু আর ‘মুক্ত’ নন |
অবশেষে বিয়ে করতে চলেছেন পরিচালক ও অভিনেতা
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
পাত্রী কিংবদন্তী ফুটবলার গৌতম সরকারের কন্যা। লিখছেন ইন্দ্রনীল রায়
|
‘ইচ্ছে’ বোধহয় আগেই ছিল। তবে তিনি আর ‘মুক্ত’ নন। ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ হল বলে।
হ্যাঁ, বিয়ে করতে চলেছেন তিনি পরিচালক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
পাত্রীর নাম গুঞ্জন সরকার। তবে এটাই শুধু তার পরিচিতি নয়। সত্তর দশকের ময়দান-কাঁপানো ফুটবলার, বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় গৌতম সরকারের কন্যা গুঞ্জন।
খবরটা পাওয়ার পর শিবপ্রসাদকে যখন ফোন করা হয়, সংবাদ মাধ্যমের কাছে খবরটা কী করে গেল এই কথাটাই প্রায় বার দশেক জিজ্ঞেস করে হাসছিলেন শিবপ্রসাদ। পরে অবশ্য মেনে নিলেন যে খবরটা সত্যি।
“আমি বরানগরের ছেলে, গৌতমদাও বরানগরের। আমাদের দু’জনের স্কুলও একবরানগর রামকৃষ্ণ মিশন। সেই ছোটবেলা থেকেই গৌতমদাকে চিনি। উনি আমার ছোটবেলার হিরো। যখন আমি যাদবপুরে পড়ি তখন প্রায়ই সিঁথির মোড়ে গৌতমদার সঙ্গে দেখা হত। তারপর ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না,” প্রায় এক নিশ্বাসেই বললেন শিবপ্রসাদ।
তাহলে গুঞ্জনের সঙ্গে আলাপ হল কী করে?
“সেটাও একটা ‘অ্যাক্সিডেন্ট’,” বলছিলেন শিবপ্রসাদ। “অ্যাক্সিডেন্ট ছবিটার জন্য আমাদের একজন ফুটবলারের বাইট দরকার ছিল। আমার মাথায় গৌতমদার কথা আসে। গৌতমদাকে অ্যাপ্রোচ করা হলে উনি রাজি হয়ে যান। সেদিন ওনাদের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র বিয়ে ছিল। আমাকে নেমন্তন্নও করেন। ওই বিয়েবাড়িতেই আলাপ হয় গুঞ্জনের সঙ্গে। তারপর তো...,” বলতে বলতেই লজ্জা পাচ্ছিলেন শিবপ্রসাদ।
তবে সব ঠিক হলেও এখনই বিয়ে করছেন না শিব-গুঞ্জন।
“বিয়ে করব ২০১৩-র শেষে। গুঞ্জন এই মুহূর্তে রানি বিড়লা কলেজে পড়াশোনা করছে। পড়াশোনা শেষ হোক, তার পর তো বিয়ে,” সাফ জানাচ্ছেন ‘ইচ্ছে’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ আর ‘মুক্তধারা’-র পরিচালক।
গুঞ্জনের প্রতি আকর্ষণের কারণটা কি?
“যে কারণে আমি গুঞ্জনের প্রেমে পড়ি তা হল ও একেবারেই ফিল্মি নয়। ভীষণ নর্মাল একটা মেয়ে। ফিল্ম, সেলিব্রিটি এসব নিয়ে ওর কোনও উৎসাহ নেই। আর বাড়িতে ছোটবেলা থেকে গৌতমদার যে সেলিব্রিটি স্টেটাস ও দেখেছে তার পর ওর সেলিব্রিটির মোহ একটুও নেই। এটাই আমার কাছে গুঞ্জনের সব চেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার। সব রকম পশু-পাখি ওর খুব প্রিয়। আর কী জানেন, অবসর সময়ে বাড়িতে দারুণ চকোলেট বানায় ও।”
কিন্তু গুঞ্জন কি জানেন, শিবপ্রসাদকে অনেক মেয়েই খুব পছন্দ করেন? গুঞ্জন, শিবপ্রসাদের নামে ‘গুঞ্জন’ শুনলে কী হবে?
“অতশত জানি না,” হেসে কুটোপুটি শিবপ্রসাদ।
|
পাপা কহতে হ্যায় |
শিবু যে ভাবে লড়াই করে উঠেছে, তাতে আমি মনে করি ও আমার সন্তান-তুল্য। ‘মুক্তধারা’ দেখেছি। অসাধারণ লেগেছে। কিন্তু আমি মনে করি শিবুর সেরা প্রাপ্তি রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির সামনে ‘মুক্তধারা’ ছবিটা দেখানো। শিবুর সঙ্গে গুঞ্জনের সম্পর্ক তৈরি হওয়াতে আমি খুব খুশি। কিন্তু বাবা তো, মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে, এই অনুভূতিটা একটু অন্যরকমও। এর থেকে অনেক সহজ ছিল কসমস ম্যাচে পেলেকে ট্যাকল করা। |
|
|
|
|
|
|