গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) বিরোধিতা করলে পরিণতি খারাপ হতে পারে বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গোর্খা জনমুক্তি যুব মোর্চার বিরুদ্ধে। শুক্রবার যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক প্রিয়বর্ধন রাই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ওই হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
প্রিয়বর্ধন রাই বলেন, “জিটিএ-র মাধ্যমেই আলাদা রাজ্যে গোর্খাল্যান্ডের পথ খুলবে। এই জন্য আমরাও জিটিএকে মেনে নিয়েছি। জিটিএকে ভাল ভাবে চালাতে সময় দিতে হবে। কিন্তু বিরোধী নেতারা নানা কথা বলছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না। এর জন্য আমরা প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পারি। তাতে পরিণতি খারাপ হলে ওই নেতারাই দায়ী থাকবেন।” যুব মোর্চার এই নেতারা কোনও রাজনৈতির দল বা রাজনৈতিকের নাম না করলেও পাহাড়ের গোর্খা লিগ, সিপিএমের মত দলের নেতাদেরই তিনি ওই ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ওই বক্তব্যকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করে গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি বলেন, “ওঁদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মদন তামাংকে প্রকাশ্য দিবালোকে এই জন্য খুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হব।” তবে মোর্চা কর্মীদের সংযত করার জন্য দলের নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে দুই পক্ষের বলার স্বাধীনতা রয়েছে। আর জিটিএ যে ভালভাবে চলছে না তা তো মোর্চার নেতাদের কথায় মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছে। এই ধরণের ফতোয়া, হুমকি দিয়ে পাহাড়ের পরিবেশ যাতে বিষাক্ত না করা হয়, তা মোর্চা নেতাদেরই দেখতে হবে।” |