চন্দ্রির ঘটনায় গ্রেফতার সিপিএমের ৭ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
তৃণমূল সমর্থকদের মারধরের অভিযোগে সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দাস-সহ দলের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের অন্যতম অলোকরঞ্জন কর হলেন এবিটিএ-র ঝাড়গ্রাম মহকুমা সভাপতি তথা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে প্রশান্তবাবু-অলোকবাবু-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে। অলোকবাবু চন্দ্রি অঞ্চলের পেটবিন্ধি হাইস্কুলের শিক্ষক। হামলা, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত রাখার মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় প্রশান্তবাবু-সহ মোট ১৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রশান্তবাবু-সহ ধৃত সাত জনকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে প্রশান্তবাবুকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে ও বাকি ৬ জনকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়। |
|
ঝাড়গ্রাম আদালতে প্রশান্ত দাস। —নিজস্ব চিত্র |
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপিএমের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে চন্দ্রি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গোলমাল চলাকালীন ৩ জন তৃণমূল সমর্থক জখম হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সিপিএমের সশস্ত্র লোকজন বাড়ি বাড়ি ঢুকে জোর করে গ্রামবাসীদের ওই মিছিলে নিয়ে যায় এবং মিছিলে যেতে অনিচ্ছুক তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের বক্তব্য, “তৃণমূলিরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত চক্রান্ত করে যাচ্ছে। জনগণ সব দেখছেন।” রাতেই তৃণমূলের জেলা নেতারা চন্দ্রিতে পৌঁছন। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষের অভিযোগ, “নেতাই থেকে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক চক্রান্তের চক্রী দীপকবাবুরা এখনও পেশিশক্তির জোর দেখাতে চাইছেন।”
গত বছরই একটি খুনের মামলায় প্রশান্তবাবুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০১১ সালের মার্চে ঝাড়গ্রামের পাটাশিমুল এলাকায় খুন হন তৃণমূল কর্মী কেশবচন্দ্র মাহাতো। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রশান্তবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। পরে অবশ্য ছাড়া পান তিনি। এ দিকে, অলোকরঞ্জন করকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক অশোক ঘোষের অভিযোগ, “শাসকদলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ঝাড়গ্রাম পুলিশের এই পদক্ষেপ।” |
|