|
|
|
|
কৃষকদের কথা ভাবছে না তৃণমূল সরকার: প্রবোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
“বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হলে রাজ্য সরকার টাকা দেয়, বড়-বড় ক্লাবগুলিকে টাকা দেয়, অথচ কৃষকেরা ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করলেও তাঁদের পরিবারের কোনও ক্ষতিপূরণ জোটে না!”তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে এমনটাই বললেন সিপিআই সাংসদ তথা সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পাণ্ডা। শুক্রবার কৃষকসভার পূর্ব মেদিনীপুর কমিটির তরফে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রবোধবাবু অভিযোগ করেন, “কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও তাঁদের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং কৃষক বিরোধী পদক্ষেপ করছে। এমনকী ফসলের দাম না পেয়ে কৃষকদের আত্মহত্যার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে তা অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।” |
|
মঞ্চে প্রবোধ পাণ্ডা-সহ সিপিআই নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন জেলা কৃষকসভার তরফে দাবি করা হয়, ষাটোর্ধ্ব কৃষকদের মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে। এ ছাড়া বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ, ফসলের লাভজনক দাম, একশো দিনের কাজে ন্যূনতম ১৮০ টাকা পারিশ্রমিক, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার কাজ দ্রুত রূপায়ণের দাবিও জানানো হয়। কৃষকসভার জাতীয় পরিষদের সদস্য চিত্তদাস ঠাকুর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সন্তোষ পাত্র জেলায় তৃণমূলের অত্যাচার, দুর্নীতি ও উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কৃষকসভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বিমল ভট্টাচার্য, সিপিআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন ঘড়া, প্রাক্তন বিধায়ক সুখেন্দু মাইতি প্রমুখ।
তমলুকে জেলাশাসকের অফিসের কাছে এই সভায় প্রবোধবাবু জানান, কৃষকদের ধান বিক্রির জন্য রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, “ধান বিক্রির টাকা চেকের মাধ্যমে দেওয়ার যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তা এক জটিল পদ্ধতি। গত বছর চাষিদের ধান বিক্রির পর চেক দেওয়া হলে পরে চেক ভাঙাতে গিয়ে দেখা যায় ব্যাঙ্কে তাঁদের টাকা জমা পড়েনি।” কৃষকদের নগদে টাকা দেওয়ার এবং ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সমবায় আইনের সংশোধন করে সরকার যে নতুন যে নিয়ম চালু করতে চাইছে প্রবোধবাবু তাঁরও সমালোচনা করেন এ দিন। বলেন, “সমবায় থেকে স্বল্প সুদে কৃষকরা ঋণ নেয়। সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে অনেক সুযোগ দেওয়ার পর বন্ধকী জমি নিলাম করে ঋণশোধের ব্যবস্থাও আছে। এতে সমবায় আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে। কিন্তু বর্তমান সরকার নতুন যে আইন করতে চাইছে তাতে ঋণ আদায়ের কাজ ব্যহত হবে। ফলে সমবায়গুলি আর্থিক সমস্যায় পড়বে। এতে কৃষকদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমবে এবং তার সুযোগ নেবে মহাজনেরা।” প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের বিরোধিতারও সমালোচনা করেন তিনি। |
|
|
|
|
|