|
|
|
|
নভেম্বর থেকেই ধান কিনবে সরকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চালের সঙ্কট মেটাতে ও চাষিদের অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে চলতি মাস থেকেই সরকারি দামে ধান কেনা শুরু করবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এক প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিগত বছরগুলির মতো যাতে ধান কিনতে দেরি না হয় বা ধান কেনা নিয়ে জটিলতা তৈরি না হয়, সে জন্য নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজত সাইনি বলেন, “চালকলগুলি দু’একদিনের মধ্যেই ধান কেনা শুরু করে দেবে। অন্য এজেন্সিগুলিও যাতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান কেনে, সেই ব্যবস্থা হচ্ছে।”
এ বার জেলায় লেভি সংগ্রহের (চাল কেনার) লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। তার মধ্যে রাজ্য সরকার সরাসরি কিনবে ৯২ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়াও বেনফেড, কনফেড, ইসিএসসি প্রভৃতি এজেন্সির মাধ্যমে কেনা হবে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। সাধারণ ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১২৫০ টাকা। ভাল ধানের মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১২৮০ টাকা। জেলায় ধান কেনা নির্বিঘ্ন করতে আগেও বৈঠক করেছিল প্রশাসন। খাদ্য দফতরের প্রতিনিধিরা ছাড়াও তাতে ছিলেন বিধায়কেরা। এ দিনের বৈঠকেও বিধায়ক, চালকল সংগঠনের নেতৃত্ব, এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোথায়, কবে, কী ভাবে, কত পরিমাণ ধান কেনা হবে তা আগাম জানাতে হবে চাষিদের। ব্লক অফিস, খাদ্য দফতরেও সেই তালিকা টাঙাতে হবে।
নভেম্বর মাসেই ধান কেনার নির্দেশ থাকলেও গত বছর ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছিল অনেক পরে। ফলে ধানের অভাবী বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। কারণ, শীতের সময় জেলার বহু মানুষ আলু ও সব্জির চাষ করেন। সেই চাষ শুরুর জন্য অর্থ প্রয়োজন। সেই অর্থ সংগ্রহ করতে অনেক চাষিই ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। পরে বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা যখন হয়, তখন দেখা যায় চাষির বেশিরভাগ ধান চলে গিয়েছে ফড়েদের হাতে। এ বার যাতে সেই ঘটনা না ঘটে সে দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও চলতি বছরে আরও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে জেলায় রেশনেও চালের সঙ্কট রয়েছে। ২ সপ্তাহ রেশনে চাল দিতে পারেনি সরকার। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন বিপিএল তালিকায় থাকা গরিব মানুষজন। এ দিন বৈঠকে বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “রেশনে চালের সঙ্কট মেটাতে ও চাষিদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কেনার কাজে গতি আনতে বলেছি। প্রতিটি এলাকায় শিবির করে ধান কিনতে হবে। শিবিরের কথা সাধারণ মানুষকে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|