|
|
|
|
অটো-রাজের বিরুদ্ধে পথে রিকশা চালকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অটো নিয়ে এ বার সরব হলেন রিকশা চালকেরা। তাঁদের অভিযোগ, অটোগুলি যেখান সেখান থেকে যাত্রী তুলছে। এমনকী একএকটি অটোতে ১০-১২ জনকেও তোলা হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রুট পারমিট অনুযায়ী অটো চালানো-সহ কয়েকটি দাবিতে শুক্রবার মেদিনীপুরে মিছিল করেন রিকশা চালকেরা। পরে মহকুমাশাসকের (সদর) দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। স্মারকলিপিও দেন মহকুমাশাসককে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রগ্রেসিভ রিকশাপুলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হয়। ইউনিয়নের নেতা তথা শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক বলেন, “নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি জানাতেই মহকুমাশাসকের কাছে গিয়েছিলাম। অটো নিয়ে রিক্সা চালকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অনেক সময় অলিগলিতে অটো ঢুকে যাচ্ছে। ফলে পথচলতি মানুষও সমস্যায় পড়েন। আশা করি, দাবিগুলো খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
রিকশা চালকদের মিছিল। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তের আশ্বাস, “দাবিপত্র পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
শহরের রাস্তায় নিয়ম ভেঙে অটো চলার অভিযোগ নতুন নয়। বৃহস্পতিবারই তল্লাশিতে নেমেছিল মোটর ভেহিকেলস দফতর। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রথম দিনই ২১টি অটোকে ধরেন দফতরের আধিকারিকেরা। দেখা যায়, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অটোরই কাগজপত্র গাড়িতে নেই, আবার কিছু অটো নিয়মিত কর দেয়নি, কারও বা বিমার সময় পেরিয়েছে। সেই অটোগুলোকে জরিমানাও করা হয়। এ বার থেকে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে। নথিপত্র না থাকলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতেই অটো-রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হলেন রিকশা চালকেরা। তাঁদের দাবিগুলি হল, রিকশা স্ট্যান্ড থেকে দূরত্ব বজায় রেখে অটো স্ট্যান্ড করা, রুট পারমিট অনুযায়ী অটো চালানো, অটোতে ৬ জনের বেশি যাত্রী না তোলা, রিং রোড ছাড়া অলিগলিতে অটো না চালানো প্রভৃতি। বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সোনা বেরা, তপন দাস প্রমুখ। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বর এক বৈঠকও ডেকেছেন মহকুমাশাসক। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেও যেখান সেখান থেকে যাত্রী তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। |
|
|
|
|
|