বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দার্জিলিং ও সুন্দরবনে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। পর্যটন দফতরের দায়িত্ব গ্রহণের পরে শুক্রবার মালদহে ফিরে এ কথা জানান পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি জানান, পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে গঙ্গাবক্ষে ছোট মাপের বিলাসবহুল জাহাজ চালানোর পরিকল্পনাও পর্যটন করছে। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “পযর্টনকে ঢেলে সাজা হবে। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক দার্জিলিং ও সুন্দরবন দেখতে হেলিকপ্টার পরিষেবা চান। তা করতে পারলে পর্যটনে প্রসার ঘটবে। দার্জিলিংয়ে হেলিপ্যাড রয়েছে বলে সেখানে কপ্টার পরিষেবা চালু করতে সমস্যা নেই। সুন্দরবনে হেলিপ্যাড তৈরি করতে হবে। দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন জায়গা হেলিকপ্টারে করে পযর্টকদের ঘোরানো হবে। এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।”
এ দিন পর্যটন মন্ত্রী হয়ে ইংরেজবাজারে ফিরেই জেলার একঝাঁক কংগ্রেস নেতাকে তৃণমূলে টেনে নিয়েছেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রস থেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু নামতেই মালদহ টাউন স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ে। স্টেশন থেকে ঝলঝলিয়া, কানির মোড়, রথবাড়ি মোড় , রাজমহল রোড, বাসস্ট্যান্ড, গৌড় রোড হয়ে নেতাজি সুভাষ মোড় পৌঁছতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়। নেতাজি সুভাষ মোড়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইংরেজবাজার টাউন কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রিয় সাহা, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস ও ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ জন কাউন্সিলার কংগ্রেসে যোগ দেন। রাজনীতিতে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। অভিযোগ, শুক্রবার কানির মোড়ে মঞ্চ বানাতে গেলে দুলালবাবুর অনুগামীরা বাধাও দেন। তা নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত জেলা সভাপতি সাবিত্রী মিত্রের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কৃষ্ণেন্দু মন্ত্রী হওয়ায় মালদহ জেলা উপকৃত হবে। আমরা দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী হাত মিলিয়ে উন্নয়ন করব। কৃষ্ণেন্দুকে সম্বর্ধনা জানাতে দলের সমস্ত কর্মী নেতাদের হাজার থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু দুলাল সরকার আসেননি। ওঁর অনুগামীরা মঞ্চ ভেঙে দেন। ঠিক কাজ হয়নি। রাজ্য কমিটিকে জানাব।”
মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “৬ মাসের মধ্যেই ইংরেজবাজার বিধানসভায় উপনিবার্চন। তখন বোঝা যাবে মালদহে কার কত শক্তি?” |