|
|
|
|
লোবায় জমি-জট |
শিল্পসংস্থাকে ডাকার দাবি, সূত্র মিলল না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দাবি ছিল ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের। হল দ্বিপাক্ষিক। প্রত্যাশিত ভাবেই তাই শুক্রবার বীরভূম জেলা প্রশাসন এবং কৃষিজমি রক্ষা কমিটির মধ্যে বৈঠকের পরেও লোবার জমি-জট কাটল না।
জট না কাটলেও ইতিবাচক একটি দিক অবশ্য খুঁজে পেয়েছেন কমিটি নেতৃত্ব। লোবা অঞ্চলে দালাল-রাজ এবং তার প্রতিবাদে হওয়া দীর্ঘ জমি-আন্দোলনের পর্বে সময় যে প্রশাসন ছিল কার্যত নিষ্পৃহ, তারাই গত ৬ নভেম্বর লোবায় পুলিশি অভিযানের পরে প্রবল জনমতের চাপে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসতে বাধ্য হয়েছে। তবে, এ দিন দুবরাজপুর ব্লক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে টানা দু’ঘণ্টা (বেলা ১১ থেকে ১টা) চলা বৈঠকের পরেও আগামী ৪ ডিসেম্বর জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করার কর্মসূচিতে অনড় থাকছে কমিটি।
এ দিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শ্যামাশিস রায়, মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর) চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী, ডিএসপি (সদর) পার্থ ঘোষ, দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতা ও সদস্য মিলিয়ে ২০-২২ জন, লোবা পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সফিক, উপ-প্রধান আলপনা ডোম প্রমুখ। |
শুক্রবার বৈঠকের ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
কমিটির নেতা জয়দীপ মজুমদার, ফেলারাম মণ্ডল, আশিস মিশ্রদের কথায়, “পুলিশি আক্রমণে আহতদের সঠিক চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, আন্দোলনরত কমিটির নেতা ও সদস্যদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার করা-সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, যেটা মূল সমস্যা অর্থাৎ, কৃষিজমির দাম, ন্যায্য ক্ষতিপুরণ বা পুর্নবাসনতা নিয়ে আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে এলাকায় খনি গড়তে আসা শিল্পসংস্থাকেই। সেটাই এ দিন হয়নি!” তাই সমস্যা মেটাতে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুলেছে কমিটি। আলোচনা সফল হতে গেলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেরই প্রয়োজন বলে মনে করছেন লোবা পঞ্চায়েতের প্রধানও।
জেলাশাসকের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” যদিও জয়দীপবাবুরা বলেন, “জেলাশাসক আমাদের দাবিদাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বৈঠকে হয়নি।” বস্তুত, লোবায় আন্দোলনের সূচনা পর্ব থেকেই কমিটি এবং এলাকাবাসী শিল্পসংস্থাকে (ডিভিসি-এমটা) সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলার দাবি তুলেছেন। কমিটি নেতৃত্বের দাবি, সরাসরি সংস্থা কথা বলেনি বলেই দালালদের উপদ্রব মাথাচাড়া দিয়েছে। কমিটির এক নেতা বলেন, “কবে তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবে, সেই অপেক্ষাতেই আছি।” |
|
|
|
|
|