রেলের জমিতে ওষুধের দোকান
নির্দেশ সত্ত্বেও কাজ বন্ধ হয়নি
বৈধ নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও তা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের উল্টো দিকে রেলের জমিতে ওষুধের দোকানের নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ পৌঁছেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মালিগাঁও সদর দফতরেও। তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজং বলেন, “রেলের ওই জমিতে অবৈধ নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কাটিহার শাখার ডিভিশন্যাল ম্যানেজারকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।” তবে দোকানের মালিকপক্ষের তরফে বিধি মেনে সব কাজ হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। মালিকপক্ষের তরফে অলক পাল বলেন, “আইন মেনে সব কাজ করছি। তবে আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ এসেছিল। একটি মামলাও চলছে। তাই কিছু বলতে পারব না।” নির্মাতা সংস্থার তরফে কয়েকজন অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের অস্থায়ী নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এসজেডিএ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রেলের ওই জমি নেওয়ার জন্য শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে আগাম টাকাও রেলকে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও জমি হস্তান্তর হয়নি। ওই জায়গায় থাকা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সেখানে উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও তাঁরা ভাবছেন বলে জানান। এ পরিস্থিতিতে অবৈধ নির্মাণ কাজ চললে পরে তাদেরও সমস্যায় পড়তে হবে দেখে এসজেডিএ’র তরফেও সপ্তাহ দু’য়েক আগে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার পরেও অবৈধ নির্মাণ কাজ চলায় উদ্বিগ্ন তারাও। নির্মাণ ঠেকাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসজেডিএ মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “ওই জমিতে অবৈধ নির্মাণ রুখতে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরেও অবৈধ নির্মাণ বন্ধ না-হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করব।” শিলিগুড়ি অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ জানান, হাসপাতালের উল্টো দিকে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। পুরসভার তরফেও মালিকপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে বলা হয়েছে। অথচ তাঁরা কোনও কার্যকর নথি দেখাতে পারেননি বলে পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। পুরসভার তরফেও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। পুরসভারই একটি সূত্র জানিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তারা জেনেছেন, ৩টি দোকানের মালিক একযোগে নতুন কোম্পানি গড়ে ওষুধের দোকান চালু করছে। সে জন্য তারা পুরনো দোকানটি সংস্কার করে কংক্রিটের ঢালাই করে লোহার স্তম্ভ বসিয়ে স্থায়ী নির্মাণ কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যবসায়ী সংস্থাকে নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা খতিয়ে দেখে তবেই ওষুধের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স (ড্রাগ লাইসেন্স) দেয় ড্রাগ কনট্রোল বিভাগ। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক জানান, বিধি মেনেই নতুন ওই কোম্পানিকে ‘ড্রাগ লাইসেন্স’ দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.