নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
গঙ্গাতীরের চন্দননগর এখন উৎসবময়।
শহরের রাজপথ-গলিপথে হাজার আলোর রোশনাই। বড় বড় আলোর তোরণে সেজে উঠেছে জি টি রোড। কর্মসূত্রে যাঁরা দূরে চলে গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে এসেছেন বাড়িতে। সেজে উঠেছে স্টেশন। তাপ্পি পড়েছে ভাঙাচোরা রাস্তায়। আকাশ ছুঁয়েছে সুদৃশ্য মণ্ডপ। কোথাও কোথাও অবশ্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আজ, সোমবার ষষ্ঠী। জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মাততে আজ থেকেই রাস্তায় নামতে চলেছে দর্শনার্থীর ঢল। ইতিমধ্যেই কিছু পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। শনিবারই চাঁপাতলা, গোপালবাগ, ফটকগোড়া, তেঁতুলতলা এবং বড়বাজার সর্বজনীনের পুজোর উদ্বোধন করে যান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। প্রথম বার এই পুজো দেখতে এসে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তিনি। |
নামে ‘চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী’ হলেও এই পুজো ছড়িয়ে রয়েছে পাশের মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বরেও। প্রবল ভিড়ের মোকাবিলায় থাকছে পুলিশি ব্যবস্থাও। প্রতি বছরই এ শহরের পুজো দেখতে লাখো মানুষের সমাগম হয়। তাঁদের যাতে কোনও রকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার প্রকাশ করা হল ‘গাইড ম্যাপ’। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ১৫০০ পুলিশকর্মীর পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্সের জওয়ানরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশও শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবে। পুলিশের মোটরবাইক-বাহিনীও শহরের আনাচ-কানাচে ঘুরবে।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে খেয়া পেরিয়ে প্রতি বছর বহু মানুষ জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে চন্দননগরে আসেন। তাঁরা যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন তার জন্য জলপথেও নিরাপত্তা আঁটোসাটো করছে পুলিশ। জলপথে কোনও দুর্ঘটনা বা অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে ৪টি স্পিডবোট ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় টহল দেবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল ভিড়ে অনেক সময়েই ছোটরা হারিয়ে যায়। তেমন ঘটনা এড়াতে রেল স্টেশন এবং প্রধান মোড়গুলিতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ওই সব শিশুদের নাম-ঠিকানা এবং অভিভাবকদের নাম লেখা পরিচয়পত্র পড়িয়ে দেবে। তার জন্য থাকছে ৩২টি পুলিশ বুথ। ৩০টি মণ্ডপে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। এ ছাড়া পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় ১০টি অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। আনন্দে মাততে চলেছে চন্দননগর। |