|
|
|
|
কার্ফু শিথিল কোকরাঝাড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও ধুবুরি |
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনও প্রাণহানি বা রক্তপাত না ঘটায় আজ সকাল থেকে কার্ফু শিথিল করা হল কোকরাঝাড়ে। গত কাল মনকুমার ব্রহ্মকে গ্রেফতারের পরে উত্তপ্ত বড়োল্যান্ড আপাতত শান্ত। বিপিএফ পুরো ঘটনাকে আজও ‘ষড়যন্ত্র’ বলে ঘোষণা করলেও কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্রতাভঙ্গের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে, চিরাং-এর আমগুড়ির রাজাপাড়ায় একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আধা-সেনা শূন্যে গুলি চালালে দুষ্কৃতীরা পালায়। এ ছাড়া, তেমন বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি শিথিল ছিল কার্ফু। তবে চলছে সেনা ও আধা সেনার টহল। কোকরাঝাড়ে ৬৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষ ছড়ানোর অভিযোগে এই অবধি গ্রেফতার হয়েছে ৬৫ জনকে।
এ দিকে, বিপিএফ নেতৃত্ব আজ চিরাং-এর কাজলগাঁওয়ে এ দিন এক বিশেষ বৈঠক ডাকে। বৈঠক শেষে বিপিএফ-এর উপ প্রধান খাম্পা বড়গয়ারি বলেন, “মনে হচ্ছে, বড়োল্যান্ডে গুপ্তহত্যার সময় ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত চলছে। পরিবেশ যখন অশান্ত, তখনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল বড়ো বিধায়কদের প্রহরী। বড়োভূমিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থ কংগ্রেস সরকার। মুখ বাঁচাতে, বেছে বেছে বড়ো নেতাদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। মনকুমার ব্রহ্মর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আমারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আমাদের সকলকে গ্রেফতার করা হলেও, বড়োভূমি বাঁচাতে বড়োদের আন্দোলন চলবে।”
মৈত্রী ভাঙা নিয়ে অবশ্য বিপিএফ কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। খাম্পা বলেন, “কংগ্রেস যা করার করছে। এই সিদ্ধান্তটাও ওরাই নিক।” তবে, কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, আইন মেনে যা করার করা হচ্ছে। বিপিএফ জোট ছাড়তে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। কংগ্রেস বিপিএফ-এর সাহায্য ছাড়াই সরকার টিঁকিয়ে রাখতে পারবে। কোকরাঝাড়ে, জেলাশাসক জয়ন্ত নারলিকর আজ এক সর্বদল বৈঠক ডাকেন। সেখানে হাজির ছিলেন বিপিএফ সাংসদ সাংসুমা বিশমুতিয়ারি ও প্রাক্তন মন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। পূনর্বাসন সংক্রান্ত জটিলতাগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। আইজি জি পি সিংহ জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণাধীন। |
|
|
|
|
|