নতুন শরিক খুঁজতে তৎপর রাহুল
মাত্র চার বছরের ব্যবধানেই বদলে গেল ছবিটা! কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ‘একলা চলো’র মতাদর্শে কট্টরপন্থী ছিলেন রাহুল গাঁধী। এখন তাঁর মুখেই উলটপুরাণ। লোকসভা ভোটের আগে দলকে নতুন জোট শরিক খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল।
গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই কংগ্রেসের নীতি নির্ধারণে রাহুলের মত গুরুত্ব পেতে শুরু করে। তখন হিন্দিবলয়ে একলা চলার পক্ষে প্রথম জোরালো সওয়াল করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে একা লড়ে কংগ্রেস ২১টি আসনে জেতে। সাম্প্রতিক কালে ওই রাজ্যে এত ভালো ফল করতে পারেনি দল। স্বাভাবিক ভাবেই রাহুল গাঁধীকেই জয়ের কৃতিত্ব দেয় দল।
কিন্তু, তার পরেই আসে বিপর্যয়। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে একলা চলতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। ফলে, জোট গড়া নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য হয়েছেন রাহুল।
ভোটের আগে নতুন শরিক খোঁজার ভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে দিয়েছেন রাহুল। তাঁকে সাহায্য করবেন বীরাপ্পা মইলি, মুকুল ওয়াসনিক ও সুরেশ পচৌরি। কিন্তু, ডিজেল-পেট্রোলের দাম বাড়ার মতো নীতির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও দল কংগ্রেসের হাত ধরতে রাজি হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় শাসক জোট ছেড়ে ইতিমধ্যে তিন শরিক বেরিয়ে গিয়েছে। তাদের মধ্যে তৃণমূলের ১৯ জন ও ঝাড়খণ্ড বিকাশ পার্টি ও অন্ধ্রের এমআইএমের এক জন করে সাংসদ রয়েছেন।
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এখন নতুন জোট শরিক পাওয়া যে কঠিন তা রাহুলও জানেন। কিন্তু, তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে চাইছেন। যাতে ভবিষ্যতে কোনও সুযোগ এলে তার সদ্ব্যবহার করা যেতে পারে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এক মাত্র লালুপ্রসাদ যাদব ও রামবিলাস পাসোয়ান ছাড়া অন্য কেউই এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি নন। বিহারে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ওই দুই নেতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে আগ্রহী। বাকিরা এখনও জল মাপছেন।
আস্থা ভোট হলে সরকারের পক্ষে ও বিপক্ষে কারা রয়েছে তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে ধারণা কংগ্রেস শিবিরের। সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে ডিএমকে। আস্থা ভোট হলে তারা ইউপিএ জোটে আছে কি না তাও বুঝতে পারবেন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা, চার বাম দল এবং মুলায়ম সিংহ যাদব ও মায়াবতীর সহযোগিতায় সরকার যদি আস্থা ভোটে জেতে তা হলে কংগ্রেসের অনুকূলে হাওয়া ঘুরতেও পারে।
শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, নীতীশ ও জয়ললিতার মতো নেতানেত্রীরা কোন জোটে থাকবেন তা অনেক বিষয়ের উপরে নির্ভর করছে। নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে এনডিএ জোট ছাড়তে পারেন নীতীশ। তাই এখনই লালুপ্রসাদ-রামবিলাসের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে অপেক্ষা করতে চাইছে কংগ্রেস। ডিএমকে ইউপিএ জোট ছাড়লে কংগ্রেস জয়ললিতার কাছাকাছি আসতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডি এবং টি আর এস নেতা চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেস নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের বক্তব্য, কংগ্রেস এখন ডুবন্ত জাহাজের মতো। তাতে কে-ই বা উঠতে চাইবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.