তিনটি পৃথক পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই শিশু ও এক যুবকের। সেই সঙ্গে গুরুতর জখম দু’জন। একটি ঘটনা ঘটে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে, একটি ই এম বাইপাসে এবং আর একটি রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জগাছা সেন্ট্রাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী দেবস্মিতা সেন (৮) তার মা এবং মামার সঙ্গে মোটরবাইক চেপে স্কুলে যাচ্ছিল। উপলক্ষ ছিল একটি অনুষ্ঠানের মহড়া। মোটরবাইকটি চালাচ্ছিলেন দেবস্মিতার মামা শক্তিপদ মাইতি। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের জানা গেট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি লরি পিছন থেকে বাইকে ধাক্কা মারে। দেবস্মিতা ছিটকে গিয়ে পড়ে একটি ল্যাম্পপোস্টের গায়ে। পোস্টে তার মাথা ঠুকে যায়। রাস্তায় পড়ে কোমরে গুরুতর আঘাত পান শক্তিপদবাবু। জখম হন দেবস্মিতার মা ডলিদেবীও। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই দেবস্মিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শক্তিপদবাবু এবং ডলিদেবীর চিকিৎসা চলছে।
এ দিকে, এই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকায় সিগন্যাল থাকলেও তা কাজ করে না। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ জানান, লরিচালকের ভুলেই এই দুর্ঘটনা। ঘাতক লরিটি আটক করেছে পুলিশ। চালককে ধরা হয়েছে।
এ দিন বিকেলে বাইপাসে রুবি হাসপাতালের কাছে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের এক শিশুর। তার নাম সুমিত বিশ্বাস (৫)। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত রাস্তায় খেলার সময়ে একটি ফাস্টফুড সংস্থার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনয় জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে। ওই সংস্থার কারখানাতেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, শনিবার রাতে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সন্দীপ ধর (২১) নামে এক যুবকের। পুলিশ জানায়, রাস্তা পার হওয়ার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। চালক-সহ লরিটি আটক করেছে পুলিশ। |