এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে তাঁর দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে বিষ্ণুপুর থানার চুয়ামসিনা গ্রামের ঘটনা। জখম অরবিন্দ মণ্ডল তৃণমূলের স্থানীয় বুথ কমিটির প্রাক্তন সভাপতি। তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি পুলিশের কাছে দলেরই বুথ কমিটির বর্তমান সভাপতি জগন্নাথ মাল ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে দোকানে লুঠপাঠ ও ভাঙচুর করে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, “আমি নিজের গোলদারি দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ জগন্নাথ ও তাঁর সঙ্গীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার দোকানে ঢুকে লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায়। ওরা টাকা লুঠ করে ভাঙচুর চালায়। আমাকে মারধরও করে।” জগন্নাথবাবুর পাল্টা দাবি, “শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের রাস্তায় গায়ে পড়ে অরবিন্দ আমাকে মারধর করে। তবে তাঁর উপর কে হামলা চালিয়েছে, জানি না।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
একদিন নিখোঁজ থাকার পরে এক আদিবাসী কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করল রামপুরহাট থানার পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ভগবতী হেমব্রম (১৫) নামে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি ওই থানার নুরুইতলায়। শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ ওই কিশোরী এলাকায় একটি মেলায় যায়। তার পর থেকে সে বাড়ি ফেরেনি। এ দিন বাসিন্দারা দেখে পুলিশে খবর দেন।
|
বিশ্ব শান্তির জন্য ও ব্যবসা বানিজ্য শিল্পের ক্ষেত্রে আর্থিক বাধা দূর করার উদ্দেশ্যে তারাপীঠে ১০৮টি যজ্ঞকুণ্ডে ন’দিন ব্যাপী অষ্টলক্ষ্মী মহাযজ্ঞ শুরু হল রবিবার। উদ্যোক্তারা জানান, চিত্রকূটের মহারাজ আচার্য শ্রী রামকুণ্ডল মহারাজের তত্ত্বাবধানে বারাণসী কাশী, হরিদ্বার-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০৮ জন পুরোহিত যজ্ঞানুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ দিন তারাপীঠের জীয়ৎকুণ্ড থেকে ১০৮টি কলস নিয়ে শোভাযাত্রা সহযোগে যজ্ঞের শুভারম্ভ হয়।
|
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের আন্দোলনে নামতে চলেছে লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। আগামী ৪ ডিসেম্বর বীরভূমের জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও এবং ১৩ তারিখ মহাকরণ অভিযানের কর্মসূচি রবিবার ঘোষণা করেন কমিটির নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, আশ্বাস দিলেও গত ৬ নভেম্বর লোবায় জমি আন্দোলনে থাকা মানুষের উপরে পুলিশের গুলিচালনার ঘটনা এবং এলাকায় প্রস্তাবিত কয়লা খনিকে ঘিরে সমস্যা মেটানোর পথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। তাঁদের কথায়, “বিধানসভায় শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও আমরা যে সব দাবি পেশ করেছিলাম, সেগুলির বিষয়ে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে, তা দেখতে ১০ দিন অপেক্ষা করেছি। ‘দেখছি দেখব’ বললেও সরকার এ ব্যাপারে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি নিতে হল।” কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ওই আন্দোলনে পাশে থাকা পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড। তিনি বলেন, “শিল্পমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সাতটি দাবি জানিয়েছিলাম। আশা ছিল, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, ওই ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেনি সরকার। এখনও পর্যন্ত সরকার তাদের অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। তাই কমিটির আন্দোলনের সঙ্গে আমরা আছি। ২৭ নভেম্বর আমাদের দলের পক্ষ থেকেও লোবায় পুলিশের গুলিচালনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মিছিল হবে কলকাতায়।”
|
ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল ত্রিভূবন দাস নামে এক যুবকের। বাড়ি দুমকায়। রবিবার সাঁইথিয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। |