পারিবারিক বিবাদের জেরে এক বৃদ্ধকে খুনের ঘটনা ঘটল মুরারই থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সাত্তার শেখ (৬২)। বাড়ি ওই গ্রামেই। ঘটনায় জখম মৃতের সেজভাই নেকতার শেখ ও বৌমা সাগিরা বেগম রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, সাত্তার শেখের স্ত্রী সাফিনা বিবি স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন দেওর আকতার শেখ ও জা নুরসেনা বিবি, আকতার শেখের তিন ছেলে ও এক মেয়ে-সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর গ্রামে শনিবার বিকেলে খেলার সময়ে আকতার শেখের পাঁচ বছরের নাতি বেলাল শেখের সঙ্গে সাত্তার শেখের নাতি রমজান শেখের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার সূত্রে বড় ভাই সাত্তার শেখের পরিবারের সঙ্গে মেজভাই আকতার শেখের পরিবারের ঝামেলা বাধে। বাসিন্দারা জানান, চারদিন আগে তাঁদের এক বোনের মৃত্যুর পর পারলৌকিক ক্রিয়ার খরচ জোগাড় করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে সাগিরা বেগম বলেন, “গতকাল বিকেলে খেলার সময়ে বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।” তাঁর অভিযোগ, “তারই জেরে আকতার শেখ বড় দাদা সাত্তার শেখের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে হুমকি দিয়ে দেখে নেব বলেন। এর পর ঝামেলা বাধলে আকতার শেখ ও তার ছেলে সিটুল শেখ শাবল নিয়ে সাত্তার শেখের ওপর চড়াও হন। বাধা দিতে গেলে আমার স্বামী মিঠুন শেখকে ওরা মারতে থাকে। এমনকী তাঁরা আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি এবং জ্ঞান ফিরলে জানতে পারি, সাত্তার শেখ মারা গিয়েছেন। আর এক ভাই নেকতার শেখ গুরুতর জখম হয়েছেন।”
সাগিরা বেগমের স্বামী মিঠুন শেখেরও অভিযোগ, “জ্যাঠামশাইকে ওরা শাবল দিয়ে আঘাত করে ও গলায় শাবল দিয়ে চেপে ধরে খুন করেছে।” যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, সাত্তার শেখের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রির্পোট ছাড়া বোঝা যাবে না কীভাবে সাত্তার শেখের মৃত্যু হয়েছে। |