রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নারী নির্যাতন বৃদ্ধির অভিযোগ ও দুবরাজপুর-তেহট্টে পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে প্রদেশ যুব কংগ্রেস ২১ নভেম্বর আইন অমান্যের ডাক দিল। শুক্রবার দুপুরে মালদহে দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর ওই আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “২১ নভেম্বর কলকাতার মেট্রো চ্যানেলের সামনে প্রদেশ যুব কংগ্রেস আইন অমান্য করবে। সরকার মেট্রো চ্যানেলের সামনে আইন অমান্যের অনুমতি দেয়নি। অনুমতি দিলে ভাল। না হলে লাঠি খাই-গুলি খাই, মেট্রো চ্যানেলের সামনে প্রদেশ যুব কংগ্রেস আইন অমান্য করবই। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে যুব কংগ্রেস কর্মীরা ওই আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হবে। পুলিশ বাধা দিলে গ্রেফতার হব। কিন্তু আইন অমান্য কর্মসূচি থেকে পিছু হটব না।” প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে নারীদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছে। এখন পুলিশ কথায় কথায় গুলি চালাচ্ছে। বীরভূমের দুবরাজপুর ও নদিয়ার তেহট্টে পুলিশ অন্যায় ভাবে গুলি চালানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি। তেহট্ট ও দুবরাজপুরের ঘটনার জন্য পুলিশই দায়ী। শাসক দলের তাণ্ডবে রাজ্যে কোনও শিল্প গোষ্ঠী আসছে চাইছে না বলেও তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য গুজরাতের নরেন্দ্র মোদীর মডেলকে সমর্থন করে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, “গুজরাতে শিল্প স্থাপনের জন্য নরেন্দ্র মোদী ওই রাজ্যের কংগ্রেস, বিজেপি, বাম দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতে শিল্প বিপ্লব ঘটাতে পারলে আমরা কেন পারব না? আমাদের রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী মডেলে উদ্যোগী না-হলে শিল্প হবে না।” এদিকে, মহানন্দার বাঁধের উপর ৬৬ কিমি রাস্তার জন্য ৩৩ কোটি টাকা অনুমোদন করায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তাঁর কথায়, “গনিখান চৌধুরী উত্তর মালদহের মানুষকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে মহানন্দা মাস্টার প্ল্যান করেছিলেন। মহানন্দা বাঁধ দিয়ে এক সময় বাস চলাচল করত। কিন্তু পরে সেই বাঁধের রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারত না। মহানন্দা বাঁধের রাস্তার দাবিতে জানুয়ারি মাসে ৭০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছিলাম।” |