মাথাটা কালো। নীচের অংশটা লাল রঙের। লাল-কালোর এই ‘ছোট্ট পক্ষীরাজ’ই এক বছরের জন্মদিনে উপহার দিয়েছে তার বাবা। বিএমডব্লিউ মিনি কুপার। সে তো আর যে সে নয়। দেশের সব চেয়ে ছোট সেলিব্রিটি আরাধ্যা বচ্চন।
দীপাবলির রাতেই দাদু অমিতাভ বচ্চন গাড়িটা চালিয়ে বাড়ি ঢোকেন। আরাধ্যার জন্মদিনের উপহার আনতে দাদুর সঙ্গে গিয়েছিলেন বাড়ির সবাই। তবে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যে তেমন জাঁকজমক থাকবে না, আগেই জানিয়েছিল বচ্চন পরিবার। “শুধু কাছের আত্মীয়রাই থাকছেন, আর আমার বাবা-মা”, বলেছিলেন ঐশ্বর্যা। সে রকমই হল। জন্মদিনটা কেমন গেল আরাধ্যার, জানা গেল না কিছুই। “সময় যেন ছুটছে। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল আরাধ্যার”, স্মৃতিতে ভাসছেন ঐশ্বর্যা। একই কথার রেশ অভিষেকের মুখেও, “সন্তানের প্রথম জন্মদিনটা সব সময়ই মায়ের কাছে খুব স্পেশ্যাল। এতটা সময় মেয়ের সঙ্গে কাটানো, তার দেখাশোনা করা।” |
এই গাড়িটিই মেয়েকে উপহার দিয়েছেন অভিষেক। ছবি: পিটিআই |
গত বছর ১৬ নভেম্বর দেশের প্রায় সব কাগজের শিরোনামে ছিল আরাধ্যা। তাকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল ক্রমেই বেড়েছে। কখনও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গিয়েছে তার জাল ছবি, কখনও অনত্র। এমনকী আরাধ্যার নাম নিয়েও কম জল্পনা-কল্পনা হয়নি। শেষে মুম্বই পুরসভায় নাম নথিভুক্ত করতে গিয়ে জানাজানি হয়ে যায় বচ্চন পরিবারের খুদে সদস্যের নাম।
কখনও লন্ডনে মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত ঐশ্বর্যা, কখনও বা শিকাগো বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পথে ক্যামেরাবন্দি মা-মেয়ে। কিন্তু কখনওই সরাসরি মুখ দেখা যায়নি আরাধ্যার। প্রথম তাকে দেখতে পাওয়া গেল এ মাসের শুরুতে, ঐশ্বর্যার জন্মদিনে। অনেকেরই দাবি, আরাধ্যাকে দেখতে মোটেই তার মায়ের মতো নয়। মায়ের মতো নীল চোখও সে পায়নি। এ সবের জন্যই মেয়েকে সংবাদমাধ্যমের আড়ালে রেখেছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্যা। কিন্তু পাল্টা মতও আছে। এক বছর আরাধ্যার সঙ্গে তার মায়ের এক বছরের ছবির কিন্তু বেশ মিল। কিন্তু তাতে কী? বিতর্ক রয়েছেই। ঐশ্বর্যা বলেন, “ছবি তোলা মিডিয়ার কাজ। কিন্তু মা হিসেবে মেয়েকে আগলে রাখাই আমার কাজ। ও খুব ছোট্ট, এই দুনিয়া সম্পর্কে ওর কিচ্ছু জানা নেই।”
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ‘গবেষণা’ শুরু হয়ে যাবে, আরাধ্যা মায়ের মতো অভিনেত্রীই হবে, নাকি অন্য কিছু। তবে বচ্চন পরিবারের দাবি, তারা চায় আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই আরাধ্যা তার ছেলেবেলাটা কাটাক। কিন্তু এর মধ্যেই তো মায়ের সঙ্গে অর্ধেক বিশ্ব ঘুরে ফেলেছে সে। চার মাসেই উপহার পেয়েছে অডি এ৮। সে দিক থেকে এক বছর বয়সেই তার জিম্মায় দু’দু’টো গাড়ি। এ হেন জীবন কাটিয়ে বচ্চনদের আশাপূরণ বড়ই কষ্টকর, বলছেন বলিউড বিশেষজ্ঞরা। |