|
|
|
|
কুয়োয় মিলল ছাত্রীর দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কুয়ো থেকে এক নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করল বারাবনি থানার পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থানীয় গৌরান্ডি এলাকায় পরিত্যক্ত একটি কুয়োয় তার দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বৈশাখী মাজি (১৫)। মৃতার পরিবারের তরফে একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মৃতার বাবা নির্মল মাজি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, দশম শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখীকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা নাগাদ তার এক বান্ধবী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পরে সে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেও হদিস না মেলায় পরিবারের তরফে ওই রাতেই বারাবনি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় তার দেহ ভাসতে দেখেন পরিবারের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে বারাবনি থানায় বিষয়টি জানানো হয়। মৃতার মামা সুশান্ত মাজির অভিযোগ, “বাড়ি থেকে বেরোনোর এক ঘণ্টা পরেও বৈশাখী ফিরে না আসায় তার ওই বন্ধুর বাড়িতে খোঁজ করতে যাওয়া হয়। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়, বৈশাখী কিছুক্ষণ আগেই বাড়ি ফিরে গিয়েছে। শুরু হয় খোঁজ। সারারাত খুজেও কোনও হদিস না মেলায় শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির আশপাশের কুয়োগুলির খোঁজা শুরু হয়। বৈশাখীর বাড়ি লাগোয়া জঙ্গল আগাছায় ভর্তি একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় দেহটি ভাসতে দেখা যায়।” তাঁর আশঙ্কা, “ভাগ্নীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে।” সুশান্তবাবুর দাবি করেন, তার ভাগ্নীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক কিশোরের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এই সম্পর্কের কথা জানত প্রতিবেশী আরও দুই কিশোর-কিশোরী। বৃহস্পতিবার পরিচিত ওই কিশোরীই তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সম্ভবত কোনও জটিলতা তৈরি হওয়ায় তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা পরিবারের লোকজনের। বারাবনি থানায় পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগে ওই তিন কিশোর-কিশোরীর নাম রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|