|
|
|
|
বেকার হলের হাল ফেরাতে ব্রাত্যর দ্বারস্থ প্রেসিডেন্সি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বাছাই করা শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, বিশিষ্ট অধ্যাপকদের আনার জন্য ‘চেয়ার’ তৈরি করা হয়েছে, এমনকী নতুন ভবনের নকশাও প্রস্তুত। অথচ শতাব্দী-প্রাচীন বেকার হলের হাল কহতব্য নয়। দেওয়ালের পলেস্তরা উঠে গিয়েছে, কোথাও ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। উপাচার্য মালবিকা সরকার নিজেই বলছেন, নামিদামী শিক্ষকই তো যথেষ্ট নয়, তাঁদের কাজ করার জায়াগাটাও ঠিকঠাক হওয়া দরকার।
প্রেসিডেন্সির মূল ভবনটি ঐতিহ্যশালী। পাশাপাশি বেকার ভবনও ১০০ বছর পূর্ণ করবে ২০১৩-র ২০ জানুয়ারি। উপাচার্য জানান, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায় থেকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ বিভিন্ন সময়ে বেকার হলে কাজ করেছেন। তাই ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অনেক। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ওই ভবন সংস্কারের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বারস্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য। সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের শেষে মালবিকাদেবী বলেন, “বেকার হলের সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।”
বেকার হলে এখন পদার্থবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যার বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। পড়ানোর জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সোমক রায়চৌধুরীর মতো পদার্থবিদ্যার খ্যাতনামা অধ্যাপকও। উপাচার্যের কথায়, “এত নামি শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়াতে আসছেন। গবেষণার জন্যও অনেক রকম অনুদান পাচ্ছে প্রেসিডেন্সি। কিন্তু বেকার হলের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল ও ছাদ ভেঙে পড়ছে। ভবনের যদি এমন ভগ্নদশা হয়, তা হলে ওঁরা কোথায় কাজ করবেন? গবেষণার জন্য দামী যন্ত্রপাতি কেনা হলেই বা তা রাখা হবে কোথায়?”
এ দিন শিক্ষামন্ত্রীকে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, “অর্থ সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।” |
|
|
|
|
|