গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এফএফআইয়ের দখলে ছিল উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ছাত্র সংসদ। এ বার সব আসনে জিতে তা দখল নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হলেও এসএফআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। ডিএসও’র তরফে ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হলে তারা একটিতেও জিততে পারেনি। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদ-সহ সবগুলি আসনেই জেতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ২৫ আসনের মধ্যে বাকিগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল মনোভাবাপন্ন ছাত্ররা। এসএফআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, নানা ভাবে তাদের সংগঠনের ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে না বুঝেই তারা প্রার্থী দেননি। তাতে পরবর্তীতে তাদের সংগঠনের পড়ুয়ারা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। তৃণমূল ছাত্র সংগঠন ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “এক দশকেরও বেশ সময় যে ইউনিয়ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দখলে ছিল এ বার সমস্ত আসনে জিতে তা আমাদের ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে এল। আর আগে একই ক্যাম্পাসে মেডিক্যাল কলেজর ছাত্র সংসদের ভোটেও আমরা জিতেছি। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শকে সামনে রেখে নতুন ছাত্র সংসদ চিকিৎসা পরিষেবা উন্নতির দিকে নজর দেবে। কলেজে পরিবেশ আরও ভাল হবে বলে আশা করছি। দলের ছাত্র সংগঠনকে এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের দাবি, কলেজে এসএফআইয়ের কোনও অস্তিত্বই নেই। এসএফআইয়ের তরফে অবশ্য অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছিল। সে কারণেই তারা প্রার্থী দেননি। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, “আমাদের সংগঠন করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। পরীক্ষার খাতায় তার প্রভাব পড়বে বলেও ভয় দেখানো হচ্ছিল। তা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগও জানানো হয়েছে। ভোটে দাঁড়ালে ওই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে বলে এ বার আমরা কোনও প্রার্থী দেইনি। তবে কলেজে আমাদের সংগঠন রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।” ডিএসও’র কলেজ ইউনিটের সভাপতি অপূর্ব মণ্ডলের অভিযোগ, ভোটের আগে নানা ভাবে ছাত্রছাত্রীদের প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁর দাবি, “এসএফআই-এ যে সব ছাত্রছাত্রীরা ছিলেন তারাই রং পাল্টে এখন তৃণমূলে ছাত্র পরিষদে গিয়েছে। ডিএসও’র ভোট আগের তুলনায় বেড়েছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে এসএফআইয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়। তিনি বলেন, “ডেন্টাল কলেজের জয়ে স্পষ্ট যে ছাত্রছাত্রীরা, তরুণ প্রজন্ম আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রয়েছে। এই ছাত্র সংগঠন কলেজের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবে। ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা মেটাতে তৎপর হবে।” |