বিয়ের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিবাহের নথিভুক্তিকরণ না-হলে জরিমানা আদায়ে বিধি প্রণয়নের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের নিজস্ব মহিলা-নীতি তৈরি হচ্ছে। সেই নীতি চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার মহাকরণে মন্ত্রিগোষ্ঠী, আধিকারিক ও নাগরিক সমাজের বৈঠক বসে।
বৈঠকে নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রুখতে ও নারী নির্যাতনের মোকাবিলায় বিবাহের আইনানুগ নথিভুক্তিকরণের কাজে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সেই বিধি না-মানলে রাজ্য মহিলা-নীতিতে জরিমানা আরোপের সংস্থান রাখার প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকের পর নারী কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, প্রস্তাবিত মহিলা-নীতিতে রাজ্যের সমস্ত দফতরকে তাদের বাজেট-বরাদ্দের অন্তত ১১ শতাংশ শুধুমাত্র মহিলাদের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পে নির্দিষ্টভাবে বরাদ্দ করার (জেন্ডার-বাজেটিং) সুপারিশও করা হয়েছে। সেই সুপারিশ এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য রাজ্য বাজেটে এ রকম আলাদা ব্যয়বরাদ্দ থাকে।
সরকারি সূত্রের খবর, এখন রাজ্যের বার্ষিক পরিকল্পনায় বিভিন্ন দফতরকে শুধুমাত্র মহিলা-কেন্দ্রিক প্রকল্পে পাঁচ শতাংশ টাকা খরচ করতে বলা হলেও বেশির ভাগ দফতরই তা মানে না।
এ ছাড়া, কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে উৎসাহ-ভাতা হিসেবে তাদের নামে নগদ টাকা জমা করে দেওয়ার প্রস্তাবও মহিলা-নীতির অন্তর্ভুক্ত করতে চায় রাজ্য। ১৮ বছর বয়স হলে সুদে-আসলে জমা সেই টাকা মেয়েরা তুলতে পারবেন। উচ্চশিক্ষা বা বিয়ের জন্য তখন তা তাঁদের কাজে লাগবে।
নারী কল্যাণ দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাতীয় মহিলা মিশনের ধাঁচে ইতিমধ্যেই মহিলাদের উন্নয়নে এ রাজ্য মহিলা মিশন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মহিলা মিশনের সভাপতি। এক মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মহিলা-নীতি চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবিত মহিলা-নীতি রূপায়ণের দেখভাল করার জন্য গঠন করা হয়েছে মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। |