গ্যাস স্টেশন তৈরির জন্য জমিই মিলছে না কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায়।
যাত্রী পরিবহণে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট। এ রাজ্যে অনেক গাড়ি এবং অটোরিকশা এখন এলপিজি-তে চলে। গ্যাসে চলা গাড়ির সংখ্যা বাড়ছেও। তাদের জ্বালানির ব্যবস্থা করার জন্য কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ৫০টি এলপিজি স্টেশন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। এক একটি স্টেশন তৈরির জন্য ১০-১২ কাঠা জমি লাগে। কিন্তু সেই পরিমাণ জমিও দিতে পারছে না রাজ্য সরকার।
জমি সমস্যা মেটাতে বৃহস্পতিবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি তেল সংস্থার কর্তারা। জমি পেলে টাকার অভাব হবে না বলেও এই দিন রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন এ কথা জানিয়ে বলেন, শুধু জমির সমস্যা নয়, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় রাজারহাট, কলকাতার রিচি রোড, এবং বারাসতের গ্যাস স্টেশন তৈরির কাজও আটকে আছে। তাঁর দাবি, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় যাত্রী পরিবহণের জ্বালানি গ্যাসের ৫০টি স্টেশন তৈরি করতে পারলে রাজ্য সরকারের বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা আয় হবে। প্রতিটি গ্যাস স্টেশন তৈরি করতে খরচ পড়বে দেড় কোটি টাকা।
তুষারবাবু জানান, এ দিনের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার জমি এবং সময়মতো ছাড়পত্র দিলে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে ৫০টি নতুন গ্যাস স্টেশন তৈরি করা সম্ভব। পরিবহণমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় প্রতিটি গ্যাস স্টেশন তৈরির জন্য ১০ কাঠা জমি দিলে মাসিক ভাড়া বাবদ তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি। সেই সঙ্গে প্রতি লিটার গ্যাসের জন্য রাজ্য সরকার কর বাবদ ৬ টাকা পাবে।
এ দিনের বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রীকে একটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তা হল এই, যে এলাকায় এলপিজি স্টেশন তৈরি করা হবে সেখানে যেন অটোরিকশার পর্যাপ্ত পারমিট দেওয়া হয়। |