টুকরো খবর
সই জাল
প্রধানের সই জাল করে বনদফতরের কাছে অনুমতি নিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এক সিপিএম সমর্থকের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ওই পঞ্চায়েত প্রধান বাঁকুড়া থানায় লিখিত ভাবে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মানকানালি পঞ্চায়েতের কেন্দাবনী গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শঙ্করী চৌধুরীর দাবি, “আমার সই জাল করে পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট দিয়ে গাছ কাটার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বনদফতরের কাছে। সেখান থেকে অনুমতিও মিলে গিয়েছিল। স্থানীয় সিপিএম সমর্থক বাসুদেব ঘোষ তদারকি করে গাছ কাটাচ্ছিলেন।” উখড়াডিহি বিট অফিসের আধিকারিক রঞ্জিত সিং বলেন, “প্রধানের-সই সার্টিফিকেট জমা পড়েছিল বলেই গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিলাম। এখন প্রধান বলছেন এই সই নকল। তাই গাছ কাটায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।” সিপিএমের বাঁকুড়া ২ জোনাল সম্পাদক আলোক সিংহ বলেন, “বাসুদেব আমাদের সমর্থক। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছিল। প্রধান এখন উল্টো কথা বলছেন।”

স্মারকলিপি
পাত্রসায়রের বালসি গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী জলধর বাগদি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত সিপিএম কর্মী খোকন বাগদি নির্দোষ বলে দাবি তাঁর স্ত্রী বন্দনা বাগদির। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি। বন্দনাদেবী বলেন, “আমার স্বামী খুন করেননি। তাঁকে ফাসানো হচ্ছে। খুনের ঘটনার যথাযথ তদন্ত হচ্ছে না। স্বামীকে মুক্তি দেওয়া হোক।” ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল গাজনের রাতে বালসির বাসিন্দা সিপিএম কর্মী জলধর বাগদিকে খুন করা হন। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি। খোকনবাবুর পরিবার কোনও স্মারকলিপি দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। গিয়ে খোঁজ নেব।”

নিগ্রহের অভিযোগ
অযোধ্যার রেঞ্জ অফিসার শম্ভুনাথ মাইতি ও বিট অফিসার পঞ্চানন সীটকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল নাগা বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলের ঘটনা। পুরুলিয়ার ডিএফও অজয়কুমার দাস বলেন, “বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে অলোচনা হয়েছে। ওনাকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।” বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিকেলে কাঠবোঝাই একটি গাড়ি ঢুকেছিল বাঘমুণ্ডি থেকে অযোধ্যা পাহাড় যাওয়ার রাস্তায় পাথরডিতে নাগা বাহিনীর শিবিরে। কাঠবোঝাই গাড়িটিকে লক্ষ্য করেছিলেন রেঞ্জ অফিসার শম্ভুনাথবাবু। অভিযোগ, পরে তিনি বিট অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে শিবিরে গিয়ে কাঠের বৈধ নথিপত্র দেখতে চাইলে বচসা হয়। পরে জওয়ানরা ওই দুই বনকর্মীকে নিগ্রহ করেন বলে। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি শম্ভুনাথবাবু। তিনি বলেন, “ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে জনিয়েছি।” পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ওই ঘটনাটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বিষয়টি মিটেও গিয়েছে।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে জমির আলু নষ্ট করা-সহ এক স্কুল পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ তুললেন এক তৃণমূল সমর্থক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার দ্বারিকা-গোঁসাইপুর অঞ্চলের দেউলি গ্রামে। দেউলি গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব রায়ের অভিযোগ, “১৫ কাঠা খাস জমিতে আমি আলু লাগিয়েছিলাম। সেই জমির দখল নিতে ও আলু নষ্ট করতে দলবল নিয়ে এদিন নেমে পড়েন দলের দ্বারিকা-গোঁসাইপুর অঞ্চল সভাপতি প্রতাপ বীর। বাধা দিতে গেলে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়। থানায় সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।” প্রতাপবাবু বোমাবাজি করেছেন বলে অভিযোগও উঠেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতাপবাবু বলেন, “ওই খাস জমিটি খেলার মাঠ। সেখানে আলু লাগাতে মানা করেছিলাম। তাতেই ছেলেকে নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন বাসুদেব্বাবু। সঙ্গে ছিলেন আমাদের দলেরই কিছু সমর্থক।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটি ব্যক্তিগত সমস্যা।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্মারকলিপি
ভলান্টিয়ার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার পুঞ্চা থানায় স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। সম্প্রতি পুরুলিয়ার বিভিন্ন থানা এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েত থেকে একজন করে পুলিশ ভলান্টিয়ার নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের আত্মীয় নিয়োগে দলতন্ত্র কায়েম হয়েছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ আস্বীকার করেছে। এসপি সি সুধাকর বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.