তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের চারজন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর জখম দু’জনকে হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার জঙ্গলআটি গ্রামের ঘটনা। গ্রামে পুলিশি টহল রয়েছে। বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার বলেন, “এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
আগামী ১১ নভেম্বর হাড়োয়ায় কৃষক সভার সম্মেলন। তার আগে বুধবার সন্ধ্যায় জঙ্গলআটি গ্রামে আয়ুব মণ্ডলের বাড়িতে সভা করছিলেন সিপিএম সমর্থকেরা। সিপিএমের অভিযোগ, সভা পণ্ড করতে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক লাঠি, রড নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়। দু’জন বাদে বাকিরা পালিয়ে যান। সেই দু’জনকে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই সভা থেকে দলীয় নেত্রীর সম্পর্কে কটূক্তি করা হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। তাতে দু’পক্ষে প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিপিএম সমর্থকদের উদ্ধার করে। পরে অবশ্য দু’পক্ষের আলোচনায় সমস্যা মিটে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ফের দু’পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। সিপিএমের দাবি, এ দিন তারিকুল সর্দার নামে এক সিপিএম সমর্থক বাজারে যাওয়ার সময় তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। ছেলেকে মারতে দেখে এগিয়ে যান তারিকুলের বাবা জলিল সর্দার। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দু’জনেরই আঘাত গুরুতর। সিপিএমের দাবি, ওই ঘটনার জেরে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী এ দিন দুপুরে জলিল এবং জামাল সর্দারের ভেড়িতে চড়াও হয়ে লুঠপাট চালায়।
তৃণমূলের দাবি, দলীয় সমর্থক হাবিবুল মোল্লা এবং তাঁর ভাই আমিনুল্লা মোল্লাকে এ দিন সকালে সিপিএম সমর্থকেরা লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। দু’জনকে হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে হাড়োয়া থানার ওসি পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএমের তারিকুল এবং জলিল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |