কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে অন্তত ‘গাঁধীগিরির’ পথেই হাঁটতে চাইছেন অধীর চৌধুরী।
রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার দু-সপ্তাহ পরে মুর্শিদাবাদে শনিবারই পলাশি-আজিমগঞ্জ ডবল লাইনের উদ্বোধন করবেন অধীর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলীয় সাংসদ বা বিধায়ক নয়, ডাক পাচ্ছেন তৃণমূল, সিপিএমের জনপ্রতিনিধিরা। অধীর বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের নিমন্ত্রণ জানানোটা সৌজন্য। কংগ্রেসের বিরোধীরা (পড়ুন তৃণমূল) সেই সৌজন্য কখনও দেখাননি। আমরা অবশ্য সংকীর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। তাই সব দলের জন প্রতিনিধিদেরই সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।”
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তাঁর দুই দলীয় সাংসদ রেলমন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলায় রেলের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন ব্রাত্য।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের অভিযোগ, পলাশি-আজিমগঞ্জ ডবল লাইনের কাজও থমকে ছিল নিছকই এলাকাটি অধীর চৌধুরীর নিবার্চনী এলাকার মধ্যে পড়ার ‘অপরাধে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়েই শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার ২২৭ কিমি রেলপথের কৃষ্ণনগর-পলাশি এবং জিয়াগঞ্জ-লালগোলা অংশটি ডাবল লাইন করার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পলাশি-আজিয়াগঞ্জ ৫৫ কিমি রেলপথ ডবল লাইন করার ছাড়পত্রও মেলেনি।
শনিবার পলাশি স্টেশনের সেই ‘উপেক্ষিত’ ডবল লাইনের শিলান্যাস করবেন অধীর। ডবল লাইন করার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “২০০৩ সাল থেকে রেলের ভাড়া বাড়েনি। এর ফলে রেলের ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এক দিকে রেলের রোজগার নেই। অন্য দিকে গচ্ছিত অর্থ যা ছিল তা খরচ করতে গিয়ে বর্তমানে রেলের প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থা।” |